২০১৪ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। তবে এবার আর সেই রেকর্ড ধরে রাখতে পারলো না টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর এবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। আর ২০১৪ সালের পর আবারও ক্যারিবীয়ানদের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হারের তিক্ত স্বাদ পেলো বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং তোপে ২২৭ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ ওভার ৫ বলেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন ব্রান্ডন কিং ও এভিন লুইস। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকনে তারা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে তারা তুলে নেন ৫৪। বাংলাদেশি বোলাররা চেষ্টা করেও ভাঙতে পারছিলেন না এই জুটি। এই জুটিতে ভর করে ১৯ ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপরেই এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন রিশাদ হোসেন। রিশাদের শিকার হয়ে ৬২ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এভিন লুইস। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন তিনি।
ব্রান্ডন কিংয়ের বিদায়ের পর কিসি কার্টিকে নিয়ে জুটি গড়েন ব্রান্ডন কিং। এভিন লুইস ব্যর্থ হলেও ফিফটি তুলে নেন ব্রান্ডন কিং।কিসি কার্টিকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত খেরতে থাকেন তিনি। অবশেষে তাকে ফেরান নাহিদ রানা। নাহিদ রানার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ব্রান্ডন কিং। আউট হওয়ার আগে করেন ৭৬ বলে ৮২ রান। তার বিদায়ে ১৭৫ রানে ২ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর কার্টিকে ফেরান আফিফ হোসেন। ফিফটি থেকে পাঁচ রান দূরে থাকতে আউট হন কার্টি। তবে চতুর্থ উইকেটে শেরফান রাদারফোর্ড এবং শাই হোপ মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দ্রুতই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। হোপ অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে। রাদারফোর্ডের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিবীযান বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন টাইগার ব্যাটররা। তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে বাংলাদেশর ব্যাটিং লাইন-আপ। যার ফলে ১১৫ রানেই সাজঘরে ফিরে যান ৭ টাইগার ব্যাটার। এরপরেই জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব। অষ্টম উইকেটে এই জুটির ৯২ রানে ভর করে ২২৭ রানে থামে বাংলাদেশ।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন