কেমন হলো মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নির্বাচনি বিতর্ক
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রধান দুই দল ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নির্বাচনি বিতর্কে অংশ নেন ডেমক্র্যাট প্রার্থী মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজ ও রিপাবলিকান প্রার্থী সিনেটর জেডি ভ্যান্স।
বিতর্কে দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট মধ্যপ্রাচ্য সংকট, অভিবাসন, কর, গর্ভপাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। এসব ইস্যুতে দুই প্রার্থী পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিলেও খুব একটা ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি। নির্বাচনি প্রচারে পরস্পরকে তীব্র ভাবে আক্রমণ করলেও, বিতর্কে দুজনের মনোভাব ছিল উষ্ণ। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিতে দেখা গেছে তাদের।
নিউইয়র্কের সিবিএস ব্রডকাস্টিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই বিতর্কের শুরুতেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলের অব্যাহত হামলা এবং ইসরাইলে ইরানের পালটা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংকট প্রসঙ্গ আসে।
রিপাবলিকান ভ্যান্স প্রশ্ন করেন, কমলা হ্যারিস কেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুদ্রস্ফীতি, অভিবাসন ও অর্থনীতির দিকে নজর দেননি। ভ্যান্স বলেন, ‘মধ্যবিত্তের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কমলা হ্যারিসের যদি এত মহৎ পরিকল্পনা থাকে, তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় কেন দায়িত্ব সম্পন্ন করলেন না।’
অপরদিকে ওয়ালজ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অস্থিতিশীল নেতা বলে উল্লেখ করে বলেন, তিনি কোটিপতিদেরই কেবল অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং ক্ষমতায় থাকাকালে অভিবাসন ইস্যুতে তেমন কিছু করতে পারেননি। ওয়ালজ বলেন, ‘আমরা, অধিকাংশ মার্কিন নাগরিকই বিষয়টির সমাধান করতে চাই। এটি করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চার বছর সময় ছিল এবং তিনি আপনাদের, আমেরিকানদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিষয়টা কতখানি সহজ হবে।’
৬০ বছর বয়সি ওয়ালজ মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ও এক সাবেক স্কুল শিক্ষক। আর ৪০ বছর বয়সি ভ্যান্স একজন জনপ্রিয় লেখক এবং ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সিনেটর। তারা উভয়ই নিজেদের আমেরিকার মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের সন্তান হিসেবে তুলে ধরেন। তবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরস্পরবিরোধী।