Image description
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩০টিরও বেশি প্যাথোজেন তালিকাভুক্ত করেছে, যা মহামারির ঝুঁকি বাড়াতে পারে
কোভিড-১৯ এখনো চলে যায়নি। তাই ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে ৪০ জনেরও বেশি ক্রীড়াবিদের পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। যা বিশ্বব্যাপী নতুন আক্রান্তের বৃদ্ধিকে তুলে ধরেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখবর জানিয়ে বলেছে, এখন সাবজেনাস সার্বেকোভাইরাস যার মধ্যে SARS-CoV-2 একটি সদস্য প্যাথোজেনের তালিকায় সামনের সারিতে রয়েছে। ৫৪টি দেশের ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী ২৮টি ভাইরাল পরিবার এবং ব্যাকটেরিয়ার একটি মূল গ্রুপ সম্পর্কিত প্রমাণগুলি মূল্যায়ন করে রিপোর্টটি তৈরি করেছেন। চূড়ান্ত তালিকায় ৩০টিরও বেশি প্যাথোজেন নথিভুক্ত করা হয়েছে। সার্বেকোভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় 'উচ্চ' হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে, কারণ এটির আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বা PHEIC এর জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করেছে। তালিকায় সাবজেনাস মেরবেকোভাইরাসও রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম করোনাভাইরাস (MERS-CoV)। MERS-CoV এবং সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (SARS) ভাইরাস উভয়ই ২০১৭ এবং ২০১- হু রিপোর্টে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্যাথোজেনের তালিকায় নতুন সংযোজন না হলেও আরেকটি ভাইরাস যা ভারত দেরিতে মোকাবেলা করেছে সেটি হলো: নিপাহ। ১৪ বছর বয়সী একটি বালক কেরালার কোঝিকোডের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংক্রামিত হওয়ার পরে মারা গেছে। ইবোলা এবং জিকা ভাইরাস উভয়কেই আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বা PHEIC তে 'উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ' হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র বর্তমানে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সাথে লড়াই করছে-প্রতিবেদনগুলি নির্দেশ করে যে গত দুই মাসে পুনেতে জিকার ৭০ টিরও বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ২৬ জন গর্ভবতী নারী রয়েছেন। প্যাথোজেনের তালিকা প্রসঙ্গে চেন্নাই-ভিত্তিক সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সুব্রামানিয়ান স্বামীনাথন বলেছেন, প্যাথোজেনগুলির কথা মাথায় রেখে সরকারগুলি নজরদারি এবং চিকিৎসা প্রতিরোধের জন্য সংস্থান বরাদ্দ করতে পারে। এর অর্থ এই নয় যে বর্তমানে প্যাথোজেনগুলি সকলেই একটি সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর অর্থ এই যে দেশগুলিকে এই রোগজীবাণুগুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে কারণ তাদের সমস্যায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তালিকায় নতুন কি আছে? ডেঙ্গু ভাইরাস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস, যার মধ্যে H5 সাবটাইপ রয়েছে। এটি ভারতে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব ঘটিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গবাদি পশুকেও প্রভাবিত করেছে। আমেরিকা ও ইউরোপে যে হারে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে, তা ঘিরেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ৮০টি দেশে ১০ মিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি প্রাণ কেড়েছে ৫ হাজার মানুষের। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, থাইল্যান্ডেও হু হু বাড়ছে সংক্রমণের হার। তালিকায় রয়েছে mpox , যা বর্তমানে আফ্রিকার কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়েছে।তালিকায় যোগ করা ব্যাকটেরিয়াগুলি প্লেগ, কলেরা, নিউমোনিয়া, আমাশয় এবং নন-টাইফয়েডাল সালমোনেলা, ডায়রিয়াজনিত রোগের প্রধান কারণ। ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজের সিনিয়র অধ্যাপক এবং সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান প্রিসিলা রূপালী বলছেন-কলেরা, নিপাহ, ডেঙ্গু এবং জিকার মহামারী ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে৷ সূত্র : দ্য হিন্দু