ইসরায়েলের দম্ভে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র
ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত আগ্রাসন চালিয়েও ক্ষান্ত ছিল না। কয়েক দশক ধরে ইরান, সিরিয়া, লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে একতরফা হামলা চালিয়ে জানান দিয়েছে– এ অঞ্চলের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক শক্তি সে। তবে গত শনিবার দেশটির সেই আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক বড় শক্তি ইরান। একযোগে তিন শতাধিক ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলে। প্রথমবারের মতো দীর্ঘদিনের বৈরী ইরান সরাসরি ইসরায়েলের সার্বভৌম ভূখণ্ডে আঘাত করে তেল আবিবের দম্ভ চূর্ণ করে দিয়েছে।
ইরান ইচ্ছা করেই ইসরায়েলের বড় ক্ষতি করে বৃহত্তর যুদ্ধ বাধাতে চায়নি। তবে তেহরানের বার্তা ছিল খুব স্পষ্ট– চাইলেই তারা ইসরায়েলের বড় ক্ষতি করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। ফলে ইসরায়েল মার খেয়ে মার হজম করছে; এখন পর্যন্ত কোনো পাল্টা জবাব দেয়নি। ইসরায়েলের ওপর ইরানি হামলায় মুসলিম বিশ্বে খুশির জোয়ার বইছে।
ইসরায়েলে এবার অন্য একটি দিক থেকেও মুদ্রার অপর পিঠ দেখতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা ইরানের পূর্বঘোষিত হামলা ঠেকাতে সর্বাত্মক সহায়তা দিলেও ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণে সায় দেয়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো ঘনিষ্ঠ মিত্ররা সাবধান করে দিয়েছে– ইরানে হামলার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে ইসরায়েলের পাশে থাকবে না তারা।
ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কোনো দেশই ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের পর আরেকটি নতুন রণাঙ্গনের বোঝা বহন করার অবস্থানে নেই।
গাজা যুদ্ধের কারণেই তাদের ফোকাস ইউক্রেন থেকে সরে গেছে। আর এ সুযোগে রাশিয়া যুদ্ধজয়ের আশা করতে শুরু করেছে।
ইসরায়েলের ভুল হিসাব
সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ইসরায়েলের ওপর ইরানের নজিরবিহীন হামলা তার শত্রু তেহরান সম্পর্কে ইহুদিবাদী দেশটির বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এ হামলা তেল আবিবের দীর্ঘকালের হিসাবনিকাশকে ভুল প্রমাণ করেছে– বৃহত্তর ইসরায়েলি আগ্রাসনের মাধ্যমে ইরানকে সর্বোত্তমভাবে নিবৃত্ত করা সম্ভব।
বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় যুক্তি দিয়ে আসছেন, ইরানকে যত বেশি আঘাত করা হবে, ততই তার যুদ্ধের ক্ষমতা খর্ব হবে। তবে শনিবারের হামলা ইসরায়েলি যুক্তিকে উল্টে দিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান এ আক্রমণ চালায়। বিশ্লেষকরা বলেছেন, এতে বোঝা যাচ্ছে, ইরানি নেতারা আর তাদের বিভিন্ন প্রক্সি বা ছায়াশক্তি, যেমন লেবাননের হিজবুল্লাহ বা ইয়েমেনের হুতিদের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করে সন্তুষ্ট থাকছেন না। বরং ইরান এখন সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।
ইসরায়েলের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক গবেষণাপ্রধান সিমা শাইন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমরা ভুল হিসাবনিকাশ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের এতদিনের অভিজ্ঞতা হলো, ইরানের প্রতিশোধ নেওয়ার শক্তি নেই। ইসরায়েলি নেতাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, ইরান যুদ্ধে জড়িত হতে চায় না। কিন্তু ইরান এখন একটি সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে না এলে এ হামলায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত। তার পরও কম ক্ষতি হয়নি। আলজাজিরা জানায়, ইরানের ছোড়া অন্তত ৯টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দুটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলের বিস্তৃত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং ওই অঞ্চলে দেশটির মিত্রশক্তিগুলোর ছোড়া গুলি এড়িয়ে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
এর মধ্যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। এতে সেখানে থাকা ইসরায়েলের একটি সি-১৩০ রসদবাহী উড়োজাহাজ, একটি রানওয়ে এবং একটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে দেশটির নেগেভ বিমানঘাঁটিতে। তবে সেখানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েল এবারই প্রথম অ্যারো-৩ নামের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা এই অ্যারো-৩ বিশেষত হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করার জন্য তৈরি হয়েছে। এরপরও ৯টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানাটা দেশটির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইরান ও ইসরায়েল নিঃশব্দে সমগ্র অঞ্চলজুড়ে একে অপরের স্বার্থকে টার্গেট করে চলেছে। ইরান হামাসকে সমর্থন করেছে এবং ইসরায়েলের শত্রু অন্যান্য আঞ্চলিক মিলিশিয়াকে অর্থায়ন ও অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে। এসব সংগঠনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ৭ অক্টোবর হামাসের ভয়াবহ হামলার পর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় লিপ্ত হয়েছে। একইভাবে ইসরায়েল নিয়মিত ইরানি প্রক্সিদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। পাশাপাশি ইরানি জেনারেল ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের ইরানের মাটিতেই হত্যা করছে। উভয় দেশই তাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। পাশাপাশি একে অপরের ওপর সাইবার হামলা চালিয়েছে এবং ইসরায়েল বারবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে নাশকতা চালিয়েছে।
এখন সেই যুদ্ধ প্রকাশ্যে এবং সরাসরি এসেছে। দামেস্ক দূতাবাসে হামলা সরাসরি ইসরায়েলি সার্বভৌম ভূখণ্ডে প্রথম ইরানি হামলা ডেকে এনেছে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইসরায়েল আগে ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের হত্যা করলেও দেশটি তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাত না। ফলে ইরানের অবস্থানকে ভুল বুঝেছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি নেতারা দীর্ঘদিন ধরে ভয় আছেন, ইরান একদিন ঠিকই ইসরায়েলে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের বিশ্লেষক অ্যারন ডেভিড মিলার বলেছেন, ইসরায়েল গত ছয় মাসের মধ্যে দুটি বড় কৌশলগত ভুল করেছে। প্রথমটি হলো, অক্টোবরের আগে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে এবং ভুলভাবে উপসংহারে পৌঁছেছিলেন, ইসরায়েলে হামলা করার ক্ষমতা হামাসের নেই। তার পরও হামাস ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালায়। ইসরায়েল হামাসের ক্ষমতা এবং শক্তি সঠিকভাবে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে হামলা নিয়ে ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, ইসরায়েল স্পষ্টভাবে সে সম্পর্কে ভুল ধারণা করেছিল।
ইরানের লক্ষ্য অর্জন
গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মার্কিন, ব্রিটিশ, ফরাসি এবং জর্ডানীয় বাহিনীর সহায়তার বেশির ভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। তবে ইরান এ হামলার মাধ্যমে যা চেয়েছিল, তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এতে বলা হয়, তেল আবিব বা তেহরানের চেয়ে ওয়াশিংটনে পরিবর্তনশীল গতিশীলতা এই সংঘাতের গতিপথের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি পাল্টা আক্রমণকে সমর্থন করবে না। বাইডেন মনে করছেন, নেতানিয়াহু তাঁকে একটি বিস্তৃত সংঘাতে টেনে আনতে চাচ্ছেন।
এদিকে আমেরিকার ভোটাররা মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ বলতে আর ইসরায়েলের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না। তারা ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বাস করেন, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘লৌহবিশিষ্ট প্রতিশ্রুতিতে’ শর্ত থাকা উচিত। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, বেশির ভাগ আমেরিকান ভোটার এখন গাজায় ইসরায়েলি সামরিক পদক্ষেপকে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।
আমেরিকা এখন নিরাপত্তা গ্যারান্টির সীমা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে। তাই এবার নতুন করে যুদ্ধে জড়ানোর ক্ষেত্রে বাইডেনের গভীর অনিচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। জানুয়ারিতে সিরিয়ার আল-ট্যাঙ্ক সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় তিন মার্কিন সেনার মৃত্যুর পরই স্পষ্ট হয়ে যায় বাইডেন আর নতুন যুদ্ধ চান না। আর এই সুযোগে ইসরায়েলের ওপর হামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলকে সতর্ক করল পশ্চিমা মিত্ররা
ইরানের হামলার পর ইসরায়েলও পাল্টা হামলার চিন্তা করছে। এ নিয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বৈঠক করলেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধের দামামার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক হামলায় তারা জড়াবে না। বাইডেন প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছেন সে কথা।
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলকে তার প্রতিক্রিয়া সাবধানে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন টেলিভিশনে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে চায়। মার্কিন প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানেও একই বার্তা পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান এবং জাতিসংঘ মহাসচিবও ইরানের হামলার মুখে ইসরায়েলকে সংযত থাকতে বলেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তাঁর দেশ পরিস্থিতির আরও অবনতি না হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাব্য সবকিছু করবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য খাদের কিনারে। এ অঞ্চলের মানুষ একটি পূর্ণমাত্রার ধ্বংসাত্মক সংঘাতের মুখোমুখি। তারা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। এখনই সময় তাদের খাদের কিনার থেকে ফিরিয়ে আনার। আর এ দায়িত্ব যৌথভাবে সবার। রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি সভার শুরুতে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ইরানের হুমকি
ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা ইরানের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলে আরও বড় পরিসরে হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। তিনি বলেন, ইসরায়েলের দখল করা ভূখণ্ডে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে, সেগুলোর একটি অংশ সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেছেন, তেহরান উত্তেজনা বা যুদ্ধ চায় না। তবে যে কোনো হামলার জবাব দেবে তারা। রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিনি এ কথা বলেন।
ইরানের ৯ গুণ ব্যয় ইসরায়েলের
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন সাবেক আর্থিক উপদেষ্টার মতে, ইরানের বিশাল ড্রোন বহর এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের এক রাতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিম অ্যামিনোচ ইসরায়েলের ওয়াইনেট নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, অথচ ইরানের হামলা চালাতে ইসরায়েলের এ ব্যয়ের ১০ শতাংশেরও কম খরচ করেছে। অর্থাৎ, হামলা ঠেকাতে ইরানের চেয়ে ৯ গুণ অর্থ খরচ করতে হয়েছে ইসরায়েলকে। ইরান কম দামি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালালেও তা ঠেকাতে ইসরায়েলকে ব্যয়বহুল ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে হয়েছে।