Image description
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঠেকাতে পারেনি ইসরায়েল ও তার মিত্ররা
সিরিয়ায় ইরানি কনসুলেট ভবনে হামলার প্রতিরোধে শনিবার দিবাগত রাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান যে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে তাতে ব্যবহার করা সবগুলো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভি। বিশেষ এক প্রতিবেদনে প্রেস টিভি জানায়, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটিও ইসরাইল কিংবা তার মিত্ররা প্রতিহত করতে পারেনি। ইসরায়েল যে বিমান ঘাঁটি থেকে সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছিল ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সেই নেভাতিম বিমান ঘাঁটিও রয়েছে— যেখানে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। রিপোর্টে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের ছোঁড়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমির নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বেশিরভাগ হাইপারসনিক ছিল। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি জানান, ইরান যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা ঘাঁটিগুলো এবং নেভাতিম বিমানঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই নেভাতিম ঘাঁটিতে ইসরাইল এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান রাখে এবং সেখান থেকে এই বিমান উড়ে সিরিয়ায় ইরানের কনসুলেট ভবনে হামলা চালিয়েছিল। জেনারেল বাকেরি বলেন, ইরানি হামলার লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে এবং ইহুদিবাদীদের কথিত আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সঠিকভাবে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকাটাইমস