ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা বুধবারই। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ইতোমধ্যে দুই দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে শর্ত অনুযায়ী হামাস যেমন মোট ৮১ জন আটক ইসরাইলি ও বিদেশীদের ছেড়েছে, ইসরাইলও তাদের জেলে বন্দী ১৮০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। এবার সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো বাড়াবার জন্য আলোচনা চলছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তাসংস্থা রয়টার্স ও এএফপি-র রিপোর্ট বলছে, আমেরিকা ও ইসরাইলের গোয়েন্দা কর্তারা কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে কথা বলছেন।
সিআইএ-র ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নস ও মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা করবেন।
ইসরাইলের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো পাঁচ দিন বাড়াতে তাদের আপত্তি নেই।
মঙ্গলবারও মুক্তি দেয়া হয়েছে
মঙ্গলবার ১২ জন পণবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে ১০ জন ইসরাইলের নাগরিক এবং দু’জন থাইল্যান্ডের নাগরিক। গাজা থেকে তারা ইসরাইলে প্রবেশ করেছেন।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের দু’জন নাগরিক মুক্তি পাওয়ায় তিনি খুশি। ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ৩৯ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক মারা গেছেন। ৩২ জনকে পণবন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসরাইলে ৩০ হাজারের মতো থাই নাগরিক কাজ করেন। মূলত তারা কৃষি-শ্রমিক।
আর ইসরাইল তাদের জেলে থাকা ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।
ত্রাণ পাঠালো আমেরিকা
গাজার মানুষদের জন্য প্রায় ২৫ টন খাবার ও ওষুধ পাঠালো আমেরিকা। এই খাবার ও ওষুধ মিশরের লজিস্টিকস হাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সেখান থেকে তা গাজায় বেসামরিক মানুষের কাছে পাঠানো হবে বলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনে তিনবার এরকম ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া হবে। গাজার মানুষের জীবন বাঁচানো ও তাদের দুর্দশা কম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর এই প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্রাণ পাঠালো।
সূত্র : ডয়চে ভেলে