রাজবাড়ী সদর উপজেলায় মেয়ের বঁটির কোপে মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দ্বাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
নিহত নারীর নাম নাজনীন বেগম (৩৮)। দুই সন্তানের মা নাজনীনের স্বামীর নাম আবদুল মান্নান মৃধা (৪৫)। অভিযুক্ত মেয়েটি (১৫) রাজবাড়ীর ইয়াছিন উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজনীন ও মান্নান দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে বড়। ঢাকায় চাকরি করেন। মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। গতকাল সন্ধ্যায় মা ও মেয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর কিছু পরে প্রতিবেশীরা ঘরের মধ্যে নাজনীনকে আটকানো অবস্থায় পায়। প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এ সময় নাজনীনকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে দেখে। পাশের ঘরে মেয়েটি বসে ছিল। আহত নাজনীনকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে আজ ভোরে তিনি মারা যান। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, মেয়েটির সঙ্গে তাদের এক আত্মীয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। মেয়েটির অভিভাবকেরা ওই সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলে। এ নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় নাজনীন বেগম মেয়েকে বকাঝকা করেন। একপর্যায়ে মেয়ে মাকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
ওসি আরও বলেন, মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় মেয়ের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযুক্ত মেয়েটি কিশোরী। তাকে আটক করা হয়েছে। মামলার পর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের সময় মেয়েটি একাই উপস্থিত ছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন