বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী কোটা বহাল থাকবে নাকি নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে সে বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশ করা হবে বলে জানা গেছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর নারী কোটার বিষয়ে মতামত চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ চিঠি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি শাখায় যাবে। পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত দেবেন।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এনটিআরসিএ’র নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী নারী কোটার প্রচলন রয়েছে। এ কোটা আগের মতোই থাকবে নাকি নতুন কোটা নীতি প্রয়োগ করে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে সে বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় যে মতামত দেবে সেভাবেই নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ নারী কোটা চালু আছে। কিন্তু দেশের কোনো কোনো এলাকায় নারী কোটা পূরণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি পদে শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশ করার একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিগত সরকার। এতে ৯৩ শতাংশ মেধা এবং বাকি ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়। নারী ও পোষ্য কোটা রাখা হয়নি।
দেশে সরকারি চাকরির সব গ্রেডের নিয়োগে ৭ শতাংশ কোটার নতুন সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। তবে কিছু দপ্তরে আলাদা নিয়োগবিধির কারণে এখনও কার্যকর রয়েছে বিভিন্ন বিশেষ কোটা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন