Image description
এবার দিনদুপুরে থানচির দুই ব্যাংকে কেএনএফের ডাকাতি
বান্দরবানের রুমার পর এবার প্রকাশ্যে দিবালোকে থানচি উপজেলা শহরের সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বুধবার দুপুর ১টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের ২৫/৩০ জনের একটি অস্ত্রধারী দল এ ঘটনা ঘটায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অস্ত্রধারীরা প্রথমে থানচি বাজার ঘেরাও করে। পরে থানচি সোনালী ব্যাংক ও পাশের কৃষি ব্যাংকে ঢুকে সবাইকে জিম্মি করে লুটতরাজ চালায়। বাজারের বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়। থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অং প্রু ম্রো মুঠোফোনে ডাকাতির বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুরের দিকে থানচি সদরের শাহজাহানপুরের দিক থেকে তিনটি চাঁদের গাড়িতে করে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এরপর থানচি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা যা পেয়েছে তা নিয়ে চলে যায়। এরপর তারা আবার ওই তিন গাড়িতে করে শাহজাহানপুরের দিকে চলে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুমায় কেএনএফ সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা ও ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। সোনালী ব্যাংক বান্দরবান অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, সোনালী ব্যাংক রুমা শাখায় ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে বলে শোনা যাচ্ছে। রুমা শাখায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা থাকার কথা। সেগুলো ভল্ট ভেঙে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর এ অঞ্চলের ব্যাংকের সব শাখায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে ‘পার্বত্য এলাকার সব নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ এ পতিপাদ্যে মঙ্গলবার রাতে রুমায় কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতি ও ম্যানেজারকে অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। বুধবার সকাল ১১টায় বান্দরবান মুক্ত মঞ্চে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদসহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক নাছিরুল আলম সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী মজিবর রহমান বলেন, সম্প্রতি কুকি-চনের কারণে পাহাড়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ও শান্তি কমিটি তাদের নির্মূল করতে যে দেশে সেনাবাহিনীকে হত্যা করা হয়, পুলিশকে হত্যা করা হয়, অস্ত্র লুট হয়। এটি বিশাল সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। সরকার সিদ্ধান্ত দিলে একদিনেই কেএনএফকে নির্মূল করতে সক্ষম। এখানে সরকারি সিদ্ধান্তের দরকার। ঢাকাটাইমস