Image description
 

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বললেন, হঠকারিতা, ফ্যাসিজম দুনিয়া ও আখিরাতে কারো জন্য কল্যাণকর নয়।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে সাবেক এমপি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের সাবেক সেক্রেটারি হাফেজা আসমা খাতুনের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একটি সময় আপনজনকে বিদায় দিতে পারব না, বিদায় নিতে পারব না, সবার সাথে দোয়াও করতে পারব না- এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি করা হয়েছিল। এমন পরিবেশ যেন আর ফিরে না আসে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি দোয়া করি, সেই দুঃস্বপ্নের সময়গুলো থেকে গোটা জাতি যেন শিক্ষা নিতে পারি। একই পথে আর যেন কেউ পা না বাড়ায়।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘আল্লাহ উত্তরাধিকার সূত্রে ও বৈবাহিক সূত্রে দুটি ধারা সৃষ্টি করেছেন। এর বাইরে রুহানিয়াতের আরেকটি ধারা পয়দা করেছেন। তবে রক্তের ঊর্ধ্বে ঈমানের সম্পর্ক।’

তিনি বলেন, ‘যারা আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাকে সম্মান করবে না তাগুত ও নফসের তাড়নায় চলবে, তাদের জেনে রাখা উচিত আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত কঠিন।’ স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, ‘হাফেজা আসমা খাতুন আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান ছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করেছেন তাই বলেছেন ও করেছেন।

তিনি যে যুগে সংগঠনের হাল ধরেছিলেন সে যুগে তিনিই হাল ধরার মতো ছিলেন। মাত্র দশজনকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সংগঠনের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এখন এই সংখ্যা ৪৩ হাজার। আমার বিশ্বাস এমন কেউ নেই তাকে শ্রদ্ধা করেন না।’ ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিনি একজন আদর্শ মা ছিলেন।

একজন ভাগ্যবতী স্ত্রী ছিলেন- তিনি আদর্শ বোন ছিলেন এবং লাখ লাখ মানুষের আদর্শ ছিলেন। তার পরিবারের যে যেখানে আছেন, সবাই দা’ঈ ইলাল্লাহ হিসেবে আছেন- এটা বিরল।’ জামায়াতের আমির বলেন, ‘আজকের কথাগুলো শুধু সংগঠনের জন্য নয়। এ কথাগুলো উপস্থিত সাংবাদিকসহ গোটা জাতির জন্য, মানব জাতির জন্য। এরকম মানুষদের পরিবারগুলোর একেকটি জান্নাতের টুকরো।’

মরহুমার বড় ছেলে নিয়াজ মাখদুমের সভাপতিত্বে এবং ছোট ছেলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইফুল্লাহ মানছুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ড. মামুন আল আযমী, হেমায়েত হোসেন, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন প্রমুখ।