BUETian - বুয়েটিয়ান
কষ্টের মধ্যেও মজার ব্যাপার হচ্ছে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যাওয়া যে বাংলাদেশ প্রেমিক যে কারো জন্য লজ্জার বিষয় এটা ভারতীয় হাইকমিশনসহ যারা গেছে সবাই বুঝছে। জেনে বুঝেও গেছে।
বুঝেছে বলেই জাতীয় পার্টির জিএম কাদের আর রুহুল আমীন হাওলাদার কিংবা শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির আমীর খসরু, রুমিন ফারহানা, মঈন খান বা গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর- যারা গেছে তাদের একজনও নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা শেয়ার করে নি। একদম চুপ।
বিএনপির অফিসিয়াল পেইজগুলোতেও এটা নিয়ে কোন সংবাদ নেই। এমনকি ভারতীয় হাইকমিশনের ফেসবুক পেইজেও শুধুমাত্র মঞ্চে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের একটা ছবি শেয়ার করেছে। বাকি অতিথিদের ছবিতো দূরের কথা নাম পর্যন্ত প্রকাশ করে নি। পেছন থেকে এমন একটা ছবি শেয়ার করেছে যাতে অতিথিদের চেহারা বুঝা না যায়, অর্থাৎ আমন্ত্রিত অতিথিদের লুকানোর একটা স্পষ্ট বন্দোবস্ত করা হয়েছিলো।
আমার দেশ পত্রিকায় না ছাপলে হয়তো দিল্লীর এই দালালদের নাম আমরা জানতেও পারতাম না। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের একদিন পরেও দিল্লীপন্থী প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের অনলাইন পোর্টালে পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো নিউজ নেই।
এই যে দিল্লীর দাসত্ব করতে হলে চুপিসারে করতে হচ্ছে, এটাও ছাত্র-জনতার একধরনের বিজয়। ভারতের নির্লজ্জ সেবাদাসীদের হাত থেকে আমরা যদি লজ্জাশীল দাসদের হাতে পড়ি, সেটাও তো একটা অর্জন!