Image description

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরীফ ওসমান হাদির পরিবারের প্রায় সবাই আলেম। ছয় ভাইবোনের এই পরিবারে প্রায় সবাই ধর্মীয় শিক্ষা ও শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত।

জানা গেছে, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় খাসমহল এলাকায় জন্ম শহীদ ওসমান হাদির। তার বাবা মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক।

হাদির বড় ভাই মাওলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক বরিশালের গুঠিয়ার একটি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব। তার মেঝো ভাই মাওলানা ওমর ফারুক। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন।

ওসমান হাদির তিন বোনের স্বামীও শিক্ষক এবং আলেম। বড় বোনের স্বামী নলছিটি ফুলহরি আব্দুল আজিজ দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও মসজিদের ইমাম মাওলানা আমির হোসেন।

মেঝো বোনের স্বামী মাওলানা আমিরুল ইসলাম ঢাকায় ব্যবসা করেন এবং ছোট বোনের স্বামী মাওলানা মনির হোসেন নলছিটি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষক।

জানা গেছে, ওসমান হাদির শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল ঝালকাঠির এন এস কামিল মাদ্রাসায়। পরে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।

২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। মেধাবী হাদি প্রাইভেট পড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সবশেষ তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণি থেকে আলিম পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন হাদি।

এখানে রয়েছে তার অসংখ্য স্মৃতি। ছাত্রজীবন থেকে ছিলেন অসম্ভব মেধাবী। সুবক্তার পাশাপাশি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ছাত্রজীবন থেকেই।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।