Image description

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যু সংবাদে নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে শহর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড় এলাকায় গিয়ে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। মধ্যরাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করতে থাকে তারা।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীসহ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্য সচিব রাইয়ান বিন কামাল, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এনামুল হাসান, সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমান, অফিস সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বুলবুলসহ বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতা।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে আহত করে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গুলি করা দুর্বৃত্তদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।

 
 

রাত সাড়ে ১০টার দিকে সারাদেশের মতো ঝালকাঠিতেও শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সেখানে যোগ দেন। হাদি ঝালকাঠি জেলার সন্তান হওয়ায় তীব্র শীতের রাতে ভালোবাসার টানে ছাত্রদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন সাধারণ মানুষও। তারা হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন এবং কলেজ মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

 

ছাত্রশিবিরের ঝালকাঠি জেলা সভাপতি এনামুল হাসান বলেন, ‘আজ আমাদের কথা বলার মতো অবস্থা নেই। দুই হাজার মানুষের জীবনের পর আজকেও কেন আমাদের তাকে হারাতে হলো। এই ব্যর্থ ইন্টেরিম সরকারের কারণে আজ হাদিকে শহীদ হতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ জানত হাদির হত্যাকারীরা তার পাশেই অবস্থান করছে। রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সব জানত। তাদের জানার মধ্যেই আজ আমাদের হাদিকে শহীদ হতে হলো। আর যদি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা না জানে, তাহলে তাদের কেন বেতন দেওয়া হচ্ছে? আজ সুশীলরা টকশোতে কথা বলতে বলতে আমাদের হত্যাযজ্ঞে পরিণত করেছে। আমরা সবাই হাদি হব, যুগে যুগে লড়ে যাব।’