ভারতের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে আধিপত্যবাদবিরোধী ঐক্যজোট।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর রয়্যাল মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শামসুর রহমান রোডের সহকারী হাইকমিশনের দিকে যায়। এ সময় ব্যানার এবং ফেস্টুন হাতে আধিপত্যবাদবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হাদির খুনিসহ সব খুনিকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিন।
মিছিলটি সিভিল সার্জন অফিসের সামনে গেলে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী বাধা দেয়। সেখানে কিছু সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেনসহ কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হন। এরপর নবনির্মিত কনভেনশন সেন্টারের সামনে তারা অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে এবং রাস্তায় বসে পড়ে। আধা ঘণ্টার মতো সেখানে অবস্থান শেষে আবারও মিছিল নিয়ে রয়্যাল মোড়ের দিকে চলে যায় বিক্ষোভকারীরা।
মিছিল থেকে সমাবেশে বক্তারা করেন, জোলাইযোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এক জ্বলন্ত আগুন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। যে কারণে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়ে হামলাকারীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। আগামীতে কাকে কাকে আঘাত করা হবে তা ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। তারা পরিকল্পিকভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বক্তারা আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বক্তব্য উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অভিযুক্তদের ফেরত না দেওয়া হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণ করা হবে। তারা এ কর্মসূচিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি একটি ‘স্পষ্ট বার্তা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আধিপত্যবাদবিরোধী জোটের নেতা আহম্মদ হামিম রাহাত, মিনান মুশফিক, রমজান শেখ, মিরাজ হোসেন, মোহাম্মদ তন্ময়, ফয়জুল্লাহ আল শাকিল, শাম্মী ইসলাম, সাঈফ নেওয়াজ, মিরাজুল ইসলাম, মহরম হোসেন মাহিম প্রমুখ।