পাবনার ঈশ্বরদীতে পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের গুলিতে বীরু মোল্লা (৪৮) নামের এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত বীরু মোল্লা ওই গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে এবং লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বীরু মোল্লার চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লা গত মঙ্গলবার তাদের পারিবারিক বিরোধপূর্ণ জমি থেকে মাটি কাটেন। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বুধবার সকালে বীরু মোল্লা বেশ কয়েকজন লোক নিয়ে জহুরুলের বাড়িতে যান। সেখানে কথা বলার একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে জহুরুল মোল্লা ও তার ছেলে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। বীরু মোল্লা ও তার সঙ্গীরা সরে না গেলে জহুরুল আবারও তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে বীরু মোল্লা মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান যে, পারিবারিক বিরোধ মেটাতে কথা বলতে গিয়েই বীরু মোল্লা হামলার শিকার হন এবং বাড়ির ভেতর থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। পুলিশ ইতোমধ্যে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।