Image description

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখতে ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ ডেকেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।

আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, আগামীকাল সোমবার শহীদ মিনার থেকে ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সেদিন ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলকে নিয়ে শহীদ মিনারে একটি সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ভারতপন্থী কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দলকে সেই সমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।

তিনি বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও তার পরিবার। হাদির বর্তমান শারীরিক অবস্থার তেমন পরিবর্তন নেই। গত দুদিনের মতোই আছে। তবে আজকে আমরা বোর্ড মিটিংয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা আমাদের জানিয়েছে যে, পরিবার চাইলে বা রাষ্ট্র মনে করলে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পারবে। আমরা এর মধ্যে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে, ইনকিলাব মঞ্চের ভাইবোনেরা এবং তার পরিবার—তারা অলরেডি প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ধার করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে ওসমান হাদিকে বিদেশে পাঠানোর জন্য। সেক্ষেত্রে তারা এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা গ্রহণ করেনি। 

তিনি বলেন, ওসমান হাদিকে বাংলাদেশের সবাই চিনে। এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে, যারা তাকে চিনে না। সুতরাং সেই হাদি বিভিন্ন সময় আপনাদের জানিয়েছেন, তার ওপর হত্যার হুমকি রয়েছে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে—বিদেশ থেকে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন নম্বর থেকে। শাহবাগ থানায় গত ডিসেম্বরে একটা জিডিও করা হয়েছে। এই হামলার সপ্তাহখানেক আগেও হাদি নিজের প্রোফাইলে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন এবং সেখানে তাকে যারা হত্যার হুমকি দিয়েছিল, তাদের নম্বর সে পাবলিক করে দিয়েছিল। 

জাবের বলেন, বাংলাদেশ সরকার, যারা দায়িত্বে রয়েছেন, যেসব গোয়েন্দা সংস্থা—অত্যন্ত হাস্যকর বিষয়—তার ওপর যে হামলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত আপনা যে ফুটেজ দেখেছেন, যাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে, এইটা আসলে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা করেনি, আমরা শনাক্ত করে তাদের কাছে পাঠিয়েছি। গোয়েন্দা সংস্থার কাজ কি একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ হওয়ার পরে আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া নাকি কোন কোন পথ ধরে এই খুনিরা পালিয়েছে, সে ফুটেজগুলো নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করা।  

জানা গেছে, বর্তমানে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন হাদি। তার সার্বিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তার মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।