এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো পুরস্কার গ্রহণ করতে এই সপ্তাহে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে পৌঁছেছেন। গত অক্টোবরেই তাঁর নাম নোবেলজয়ীদের তালিকায় ঘোষণা হয়। তবে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই গোপন অবস্থানে ছিলেন এবং প্রকাশ্যে খুব কমই আসতেন।
অসলোতে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মাচাদো স্বীকার করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পেয়েছেন বলেই তিনি ভেনেজুয়েলা থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন তাঁকে সাহায্য করেছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি সরাসরি উত্তরে বলেন, “হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাকে দেশ ছাড়তে সাহায্য করেছে।”
কীভাবে তিনি দেশ ছাড়লেন—এই প্রশ্নে মাচাদো জানান, বিস্তারিত জানালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে, তাই সব তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না। তাঁর ভাষায়, “সরকার যদি জানতে পারত আমি কোথায় আছি, তাহলে আমাকে এখানে আসা ঠেকাতে সবকিছুই করত। ওরা জানত না আমি ঠিক কোথায় লুকিয়ে ছিলাম, তাই আমাকে আটকানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়।”
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে—মাচাদো ছদ্মবেশে, এমনকি পরচুলা পরে ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে একের পর এক সামরিক চেকপয়েন্ট অতিক্রম করেন। এরপর এক মাছ ধরার নৌকায় দেশ ছাড়েন এবং কুরাসাওয়ে পৌঁছান। সেখান থেকে একটি প্রাইভেট জেটে নরওয়ের উদ্দেশে রওনা হন। তবে যাত্রাপথে সেই প্রাইভেট জেট যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্টপওভার করে।