Image description

শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে, আজ কেন্দ্র ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি। সহকারী শিক্ষকরা সকালে ১০টায় যথারীতি পরীক্ষা না নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফেরত পাঠান। এরপর দুপুর ১২টায় দ্বিতীয় শিফটে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসলে তাদেরও ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন সহকারী শিক্ষকরা।

 

 

উপায়ান্তর না দেখে প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি ফোনে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা শুরু করান।

 

 

 

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর পৌর শহরের ছনকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

 

 

 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রধান শিক্ষিকার সহযোগিতায় পরীক্ষা নিচ্ছেন। শিক্ষক মিলনায়তনে বসে আছেন চার সহকারী শিক্ষক। মাঠে বসে আছেন অভিভাবকরা।

 

 

 

উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠান সহকারী শিক্ষকরা। দ্বিতীয় শিফটেও একই ঘটনা শুরু হলে খবর পেয়ে দ্রুত বিদ্যালয়ে পৌঁছান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিকে ডেকে পাশের মসজিদ থেকে মাইকে ডাকা হয় শিক্ষার্থীদের। এরপর আশপাশের মানুষের সহযোগিতায় শিশু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে পরীক্ষা শুরু করান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

 

 

 

জানতে চাইলে ছনকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাউছার জাহান কালবেলাকে বলেন, সবগুলো পরীক্ষা নিতে শিক্ষকরা সহযোগিতা করেছেন কিন্তু আজ তারা উল্টো কাজ করেছেন। প্রতিদিন কাউকে না কাউকে বুঝিয়ে পরীক্ষা নিয়েছি, কিন্তু আজ কোনো শিক্ষক সহযোগিতা করেনি বরং শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।

 

 

আন্দোলনকারী শিক্ষক মাহবুবুর আলম বলেন, আমাদের দুজন শিক্ষক নিহত এবং অসংখ্য শিক্ষক আহত হয়েছেন। আজ কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছি আমরা।

প্রয়োজনে ছুটি না কাটিয়ে আমরা পরীক্ষা নিবো কিন্তু আজ নিব না।

 

 

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আরিফুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক কালবেলাকে বলেন, বাচ্চাদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এ আন্দোলনের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আন্দোলনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই।

 

 

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনীন আখতার কালবেলাকে বলেন, বাচ্চাদের পরীক্ষা না নিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে এসে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।