- প্রফেসর এম এ রশীদ
বাংলাদেশে চাঁদাবাজি গুরুতর সামাজিক সমস্যা। এটি প্রতিরোধে সমন্বিত ও কার্যকর কৌশল দরকার। দরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যা করতে পারে
চাঁদাবাজির ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেফতার
বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন : চাঁদাবাজি তদন্তের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা, যারা দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করে অপরাধীদের শনাক্ত করা যায়।
প্রযুক্তির ব্যবহার : অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ট্র্যাকিং এবং গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা।
ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা : অভিযোগকারীদের পরিচয় গোপন রাখা এবং সুরক্ষার ব্যবস্থা করা।ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল বাড়ানা
উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল বৃদ্ধি : বাজার, পরিবহন টার্মিনাল এবং শিল্প এলাকা, যেখানে চাঁদাবাজি বেশি হয়, নিয়মিত টহল দেয়া।
মোবাইল টহল ইউনিট : দ্রুত সাড়া দিতে সক্ষম ভ্রাম্যমাণ পুলিশের ব্যবস্থা রাখা।
স্থানীয় কমিউনিটি সংযুক্তি : স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা এবং সেখানে নজরদারি বাড়ানো।
পুলিশের দুর্নীতিমুক্ত কার্যক্রম নিশ্চিত করা এবং দায়বদ্ধতা বাড়ানো
জবাবদিহি নিশ্চিত করা : পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন বা ওয়াচডগ গঠন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি : দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
প্রশিক্ষণ ও নৈতিক শিক্ষা : পুলিশের নৈতিকতা এবং জনকল্যাণমুখী দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান।
জনগণের অভিযোগ গ্রহণ ব্যবস্থা : পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে জনগণ সহজেই অভিযোগ করতে পারে এমন ব্যবস্থা চালু করা, যেমন হটলাইন বা মোবাইল অ্যাপ।আইনের কঠোর প্রয়োগ
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান থাকা সত্ত্বেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না। আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। সঙ্ঘবদ্ধ চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে শাস্তি আরো কঠোর করা যেতে পারে। চাঁদাবাজ ও তাদের পৃষ্ঠপোষক উভয়ের জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।
বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা : চাঁদাবাজির মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা (যেমন ৬ মাস)।যোগ্য বিচারক নিয়োগ : বিশেষ প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগ দেয়া, যারা দ্রুত এবং নিরপেক্ষভাবে মামলা পরিচালনা করতে সক্ষম।
ডিজিটাল মামলা ব্যবস্থাপনা : মামলার প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করা।
মিথ্যা অভিযোগের প্রতিরোধ : মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা, যাতে কেউ এই আইনের অপব্যবহার করতে না পারে।
প্রতিবেদন এবং মনিটরিং: চাঁদাবাজি দমনে আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা : বাংলাদেশে চাঁদাবাজি সমস্যার একটি বড় অংশ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।এ সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে :
১. রাজনীতির সাথে জড়িত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
তদন্ত ও বিচার : রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে কোনো প্রকার শিথিলতা বা বিশেষ সুবিধা প্রদান না করে আইনের আওতায় তদন্ত ও বিচার করা। রাজনৈতিক চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
স্বচ্ছতার নীতি : প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে দল থেকে বহিষ্কার করা। অপরাধীদের তালিকা তৈরি করে তা প্রকাশ করা, যাতে তাদের সামাজিকভাবে কলুষিত করা যায়।
নিরপেক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক চাপমুক্ত রেখে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়া।
নৈতিক নেতৃত্ব গঠন : রাজনীতিতে নৈতিক মূল্যবোধ এবং জনসেবামূলক মনোভাব উৎসাহিত করা।
নেতাদের দায়িত্ব হবে চাঁদাবাজি বন্ধে জনগণের পাশে থাকা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ : রাজনীতিবিদদের জন্য চাঁদাবাজি বিরোধী কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করা।
দলের শুদ্ধি অভিযান : প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করবে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
গণমাধ্যমের ভূমিকা : রাজনৈতিক নেতাদের কার্যক্রমের ওপর গণমাধ্যমের নজরদারি বাড়ানো, যাতে তারা চাঁদাবাজির পৃষ্ঠপোষকতা না করতে পারে।
রাজনৈতিক ফান্ডিংয়ের স্বচ্ছতা: রাজনৈতিক দলগুলো যেন বৈধ উপায়ে তহবিল সংগ্রহ করে, তা নিশ্চিত করা।
অর্থনৈতিক অনিয়মের তদন্ত : রাজনৈতিক দলের তহবিল ব্যবহারে চাঁদাবাজি বা দুর্নীতি থাকলে, তা কঠোরভাবে তদন্ত করা।
গণপ্রতিনিধিদের নিয়মিত মূল্যায়ন : যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, তাদের কাজের ওপর জনগণ এবং দলীয় পর্যায়ে নিয়মিত মূল্যায়ন করা।
সুশাসনের ভিত্তি স্থাপন : রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা।
জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা : জনগণকে বুঝতে হবে যে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা জনসেবা, চাঁদাবাজির পৃষ্ঠপোষকতা নয়।
প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাস্বচ্ছ নিয়ম ও পদ্ধতি : প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।
তথ্য অধিকার আইন কার্যকর করা: প্রশাসনিক তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া, যাতে তারা সহজেই সরকারি কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে।ইগভর্ন্যান্স চালু করা
ডিজিটালাইজেশন : সব ধরনের প্রশাসনিক সেবা অনলাইনে প্রদান নিশ্চিত করা।
ফাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা, যাতে জনগণ তাদের আবেদন বা অভিযোগের বর্তমান অবস্থা জানতে পারে।
স্বয়ংক্রিয় সেবা : ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল সিস্টেম চালু করে দুর্নীতির সুযোগ কমানো।
জবাবদিহিতার কাঠামো গঠন
স্বাধীন তদন্ত কমিশন : প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা।
বার্ষিক প্রতিবেদন : সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের ওপর বার্ষিক মূল্যায়ন চালু করা এবং তা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা
কঠোর শাস্তির বিধান : দুর্নীতিতে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যকর ভূমিকা : দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা এবং প্রভাবমুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়া।
হটলাইন ব্যবস্থা : জনগণ যেন সহজেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে, এমন একটি হটলাইন চালু করা।সেবামূলক প্রশাসন গঠন
সেবামূলক প্রশাসন গঠনের জন্য যা করণীয় তা হলো : সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও নৈতিক মূল্যবোধ উন্নত করার জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ দান, প্রতিটি সরকারি সেবার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ঠিক করা এবং তা মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা, স্থানীয় জনগণের চাহিদা বুঝে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
রাজনৈতিক সদিচ্ছা : রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সুশাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা এবং প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।
সুশীলসমাজের ভূমিকা : বিভিন্ন এনজিও এবং সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করতে দেয়া।স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি গঠনের মাধ্যমে প্রতিরোধ
এবং স্থানীয়পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করা। স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে চাঁদাবাজি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা।
প্রযুক্তি ব্যবহার
হটলাইন বা মোবাইল অ্যাপ চালু করা, অভিযোগকারীর পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা, যাতে তারা নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করেন।
হটলাইনে আসা অভিযোগগুলোর দ্রুত তদন্ত ও সমাধানের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন।মোবাইল অ্যাপ চালু
অ্যাপের বৈশিষ্ট্য : অভিযোগ জানানো, ছবি বা ভিডিও প্রমাণ আপলোড করা এবং অভিযোগের অবস্থা ট্র্যাক করার সুযোগ থাকা।
মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট : বাংলা এবং ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অ্যাপটি তৈরি করা, যাতে সবাই সহজে ব্যবহার করতে পারে।
জরুরি সহায়তা বোতাম : অ্যাপে একটি ‘ইমার্জেন্সি বাটন’ থাকা, যা চাপলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে সিগন্যাল পাঠানো হবে।প্রচারণা এবং প্রশিক্ষণ
হটলাইন ও অ্যাপ ব্যবহারের জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় প্রচারণা চালানো। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ
প্রমাণ সংরক্ষণ
সিসিটিভি ফুটেজ নিরাপদে সংরক্ষণ করা, যাতে প্রয়োজনে তদন্তের সময় এটি ব্যবহার করা যায়।
একটি নির্ধারিত সময় (যেমন ৩ মাস বা ৬ মাস) পর্যন্ত ফুটেজ সংরক্ষণের নীতি চালু করা।
সিসিটিভি ক্যামেরার কার্যক্রম নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা, যেন কোনো কারিগরি ত্রুটি না থাকে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (অও) : সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করতে এবং অস্বাভাবিক কার্যকলাপের পূর্বাভাস দিতে অও প্রযুক্তি ব্যবহার।
ডেটাবেস তৈরি : চাঁদাবাজি বা অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস তৈরি।
নিয়মিত মূল্যায়ন : হটলাইন, মোবাইল অ্যাপ এবং সিসিটিভি ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়মিত মূল্যায়ন করে উন্নয়নের সুযোগ খুঁজে বের করা।অপরাধীদের পুনর্বাসন
চাঁদাবাজিতে জড়িতদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে শিক্ষামূলক ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করা।
বেসরকারি সংগঠন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা
এনজিও এবং সুশীলসমাজকে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করা।
গণমাধ্যমে চাঁদাবাজির ঘটনা তুলে ধরা এবং অপরাধীদের পরিচয় উন্মোচন করা।পরিবারে নৈতিক শিক্ষা প্রদান, পারিবারিক মূল্যবোধ জোরদার করা :
সততা ও নৈতিকতার শিক্ষা : পরিবারের অভিভাবকদের উচিত শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সততা, দায়িত্ববোধ এবং অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়া।
চলমান আলোচনার ব্যবস্থা : পরিবারে নিয়মিত নৈতিক এবং সামাজিক বিষয়ে আলোচনা চালু রাখা, যাতে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীরা সঠিক ভুলের পার্থক্য শিখতে পারে।
সঠিক রোল মডেল তৈরি : অভিভাবকরা নিজেদের আচরণে সততা এবং শৃঙ্খলা প্রদর্শন করে সন্তানদের জন্য রোল মডেল হিসেবে কাজ করতে পারেন।
ধর্মীয় ও মানবিক শিক্ষা : ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষা জোরদার করা, যেখানে মানুষকে অন্যায় ও অপরাধ থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব শেখানো হবে।
অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণের গুরুত্ব শেখানো এবং পারস্পরিক সহায়তার মনোভাব তৈরি করা।
সামাজিকভাবে চাঁদাবাজি বা অপরাধের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা
গণমাধ্যমের ভূমিকা : টেলিভিশন, রেডিও এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঁদাবাজির ক্ষতিকর প্রভাব এবং তা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে প্রচার চালানো।
স্থানীয় সভা-সমাবেশ : স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি মিটিং আয়োজন করা, যেখানে সবাই মিলে চাঁদাবাজি বন্ধে করণীয় নির্ধারণ করবে।
পোস্টার এবং ক্যাম্পেইন : স্কুল, কলেজ এবং জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজি বিরোধী পোস্টার ও ক্যাম্পেইন চালানো।নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা
যারা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত, তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করা এবং অন্যদের এই কাজ থেকে বিরত রাখতে উদ্বুদ্ধ করা।
তরুণদের নিয়ে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে স্থানীয় সংগঠন তৈরি করা, যারা সচেতনতা তৈরি এবং প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চাঁদাবাজি এবং অপরাধের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম চালু করা।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সামাজিক সহযোগিতা
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমাজের সাধারণ মানুষ মিলে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কাজ করবে।
পরিবার এবং সামাজিক পর্যায়ে এই উদ্যোগগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে চাঁদাবাজি দমন এবং একটি সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে তা বড় ভূমিকা রাখবে।লেখক : সিনিয়র ফেলো, এসআইপিজি,
নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি