Image description
 

বখাটে কিশোর চক্রের দৌরাত্ম্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা এখন অপরাধের সাম্রাজ্য। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে অতিষ্ঠ এলাকার বাসিন্দারা। অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত মোহাম্মদপুর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে পুলিশ। প্রভাবের ঊর্ধ্বে এসে অপরাধ দমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

 

‘লাড়া দে’র মতো উদ্ভট নামে মোহাম্মদপুরে বখাটে কিশোর চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল মূলহোতা তামিমুর রহমান মীম। ২০১৯ সালে সাঁড়াশি অভিযানে মীমসহ গ্যাংয়ের ২২ সদস্যকে আটক করেছিল পুলিশ।

 

এবার সেই গ্যাংয়ের ছত্রছায়ায় মীমের সেকেন্ড ইন কমান্ড মারুফ, রাশেদসহ এলাকার উঠতি কিশোররা চালিয়ে যাচ্ছে নানা অপকর্ম। জড়িয়ে যাচ্ছে মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের মতো নানা অপকর্মে। এমনকি গভীর রাতেও তুলে এনে চাঁদার জন্য টর্চার করা এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ি, নূরজাহান রোড এমনকি এলাকার অলি গলিতে দিনে দিনে দুপুরে চলে গ্যাং কালচার। আধিপত্য বিস্তারের নামে বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত এদের ভয়ে তটস্থ স্থানীয়রাও।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন, এলাকায় এমন কোনো অপকর্ম নেই যে এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা করে না। নারী সংক্রান্ত অপরাধেও জড়িত পড়েছে তারা। অনেকেই রাতে তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কিছু বলতেও সাহস করে উঠতে পারে না।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফের ছত্রছায়ায় এলাকার অন্তত ১০টি স্পটে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা চালাত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তবে ৫ আগস্টের পরে নতুন প্রভাব বলয়েই অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে চক্রের সদস্যরা।
 
নামে-বেনামে কিংবা উদ্ভট সব নামে অন্তত ১২টি চক্রের দৌরাত্ম্যে জিম্মি হয়ে পড়েছে মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার সাধারণ মানুষ।