তবে কারো ফাঁসির দণ্ড বা যে কোন ধরনের শাস্তি ঘোষণার মুহূর্ত আসলে আমাদের ‘সেলিব্রেশনের উপলক্ষ্য’ হওয়া উচিত না। বিচারের মাধ্যমে কারো শাস্তি হওয়ার মুহূর্তটা আমাদের সেলফ রিফ্লেকশনের মুহূর্ত হওয়া উচিত। আমরা সবাই কমবেশি অপরাধী, অন্তত আল্লাহর কাছে।
বিচার হলে আমাদের সবার ছোটবড় শাস্তি হওয়ার চান্স আছে। ফলে, যতবড় অপরাধীই হোক, তার শাস্তি আমাদেরকে এমন একটা ফিল দেয়া উচিত যেন, আমরা শিক্ষা নিচ্ছি, যেন আমরা এই অপরাধীর মতো না হয়ে উঠি। বিচার তো প্রতিশোধ নয়।
বিচারকে আমরা যেন আমাদের প্রতিশোধের উপলক্ষ্য না বানাই। আল্লাহ সর্বোত্তম বিচারক। আপনার আমার বিচারেও অনেক ভুল থাকতে পারে। ফলে, বিচারে রায় শুনে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া উচিত। অপরাধীর বিচার হচ্ছে- এটা দেখে ভাল অনুভূতি হতে পারে।
আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু সেটা উৎসবের কারণ হওয়া মোটেও ঠিক না। জানি না নবী বা সাহাবারা কোন অপরাধীর শাস্তির ঘোষণায় উৎসব বা মিষ্টি বিতরণ করতেন কিনা।
আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, নিজেকে আওয়ামী লীগ হিসেবে পরিচয় দেন এমন অনেক মানুষও মনে করেন হাসিনার সঠিক বিচার হলে বহুবার ফাঁসির দণ্ড হবে। অনলাইনের ভারতপন্থী আওয়ামী ভণ্ডদের বাইরেও বহু আওয়ামী লীগার আছেন, আমরা তাদেরকে বাস্তব জীবনে চিনি।
বিচারকে প্রতিশোধ হিসেবে না দেখে ন্যায় প্রতিষ্ঠার টুল হিসেবে দেখলে এমন আওয়ামী লীগাররা আপনার শত্রু নয়, বরং বন্ধুই হবেন। বাংলাদেশপন্থী মানুষদের এখন বন্ধুর বাড়ানোর দরকার, শত্রু নয়।
১৩ সালে শাহবাগের বর্বররা ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার পর আপনাকে মিষ্টি খাইতে শিখাইছে। আর আপনি তাদেরকে শিক্ষক মেনে বসে আছেন! আইরোনি না?
আমি সুশীল কথা বলতেছি না। এটা স্যাটায়ারও নয়।
গত কয়েকদিন আওয়ামী লীগের বুর্বকদের অনলাইন এক্টিভিটি দেখে হাসিনার শাস্তি ইস্যুতে অনেক মজা করেছি। কিন্তু তার ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার পর মোটেও জিনিসটাকে হাস্যরসের উপলক্ষ্য মনে হয়নি।