Image description

দেশে বিমানের টিকিট কিনতে দিনদিনই জনপ্রিয় হচ্ছে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি, যাদের বড় একটা অংশই সেবা দেয় অনলাইনে। বর্তমানে বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া ট্রাভেল এজেন্সি ৫ হাজারের বেশি। তবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইটিএ) অনুমোদিত এজেন্ট রয়েছে মাত্র ১২শ’র মতো।

 

আইটিএর অনুমোদন নেই এমনই কিছু অনলাইন এজেন্সি গত দুই মাসে টিকিট দেয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাহকদের শত কোটি টাকার বেশি। এমন তিনটি এজেন্সি—প্রতিষ্ঠান ফ্লাই ফার ইন্টারন্যাশনাল, ট্রাভেল বিজনেস পোর্টাল ও ফ্লাইট এক্সপার্ট।

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ (আটাব)’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফের ভাষ্য, অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র, যা নজরদারিতে রাখতে হবে সরকারকেই।

চ্যানেল 24-কে তিনি বলেন, এসব অনলাইন এজেন্সি মানুষকে অতিরিক্তি মূল্যছাড় ও বিভিন্ন রকম অফার দিয়ে প্রলুব্ধ করে। একপর্যায়ে তারা শত শত কোটি টাকা কালেকশন করে ভেগে যায়। গত দু-তিন মাসে এ রকম তিনটি এজেন্সি আমরা দেখলাম, যারা অনলাইনে এই কাজগুলো করে অনেক টাকা নিয়ে ভেগে গেছে। 
 
বিপুল অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশেষে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও নিবন্ধন আইন সংশোধন করে খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার, যা বাস্তবায়ন হলে এক এজেন্সি টিকিট কিনতে পারবে না অন্য এজেন্সি থেকে। পাশপাশি অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর নিবন্ধনের সময় জমা দিতে হবে ১০ লাখ টাকা।

অনলাইনে টিকিট প্রতারণা এড়াতে শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদেরই সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, একটা এয়ারলাইনস ইন্টারন্যাশনাল টিকিট সেল করার জন্য ৭ শতাংশ পর্যন্ত একটা এজেন্সিকে কমিশন দেয়। যখন একটা অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি সেই এয়ারলাইনসের টিকিটে ১০ থেকে ১২ শতাংশ আপনাকে দিচ্ছে, তাহলে আপনাকে ভাবতে হবে—একটা এয়ারলাইনস যদি ৭ শতাংশ কমিশন দেয়, তাহলে এজেন্সি কীভাবে ১০ থেকে ১২ শতাংশ দেয়।