রাজধানীর বনানীর অভিজাত এলাকায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের, বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মালিকানাধীন ৬০ কাঠা জমিতে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ২৮ তলা ভবন নির্মাণ করেছে বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ‘বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্স’ নামে যে ভবনটি নির্মাণ করেছে, তা মূলতঃ ১৩ তলা অনুমোদনের ভিত্তিতে তৈরি করার কথা ছিল। এই মর্মে ২০০৬ সালের ২৯ মার্চ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর সম্পূর্ণ জমির উপর ১৪ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের জন্য অবিভক্ত ডিসিসির তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক আবারও চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু উক্ত চুক্তিনামায় স্থানীয় সরকার বিভাগের কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি। অবৈধ ওই চুক্তিনামা অনুসারে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দেয়া হয় ৩০ শতাংশ শেয়ার, অন্যদিকে বোরাক রিয়েল এস্টেট নেয় ৭০ শতাংশ। এমন অসম চুক্তি নিয়ে ওই সময়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই এটিকে হাস্যকর চুক্তি বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
কিন্তু দেখা গেলো চুক্তির সামান্য সে হিস্যা, সেটিও বুঝিয়ে দেয়নি সিটি করপোরেশনকে। উল্টো, চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ১৪ তলার স্থলে ২৮ তলা ভবন নির্মাণ করে পুরোটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এ থেকে অবৈধভাবে আয় ভোগ করে বোরাক ডেভেলপার কোম্পানিটি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তখন একাধিকবার এসব গুরুতর অনিয়ম নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তদন্তের জন্য নথি খোলে। উচ্চ আদালতে মামলাও হয়েছে। তবে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় তখন কোনো তদন্তই আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরে এই অন্তর্বর্তী সরকারের এসময়ও সেটিকে বৈধতা দিতে চলছে তোড়জোড়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একাধিক বৈঠক করেছে। ডিএনসিসি ইতিমধ্যে বোরাকের অবৈধ কর্মকাণ্ড জায়েজ করার কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে। বোরাক রিয়েল এস্টেট এবং আওয়ামী সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ড জায়েজ করার দরকষাকষি চলছে পর্দার অন্তরালে। এই দরকষাকষিতে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও জড়িয়ে পড়েছেন, বলছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বোরাক রিয়েল এস্টেটের মালিক নূর আলী। তিনি একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। ক্ষমতার এই প্রভাবকে ব্যবহার করে নূর আলী চুক্তির শর্ত ও আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে ডিএনসিসি’র নিজস্ব জমিতে অনুমোদিত ১৪ তলার স্থলে অবৈধভাবে ২৮ তলা ভবন নির্মাণ করেন। সরকারের অডিট বিভাগের নিরীক্ষায়ও অনিয়ম-জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। তবে সেইসব বিষয় মোটেই পাত্তা দেয়নি বোরাক। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে বোরকের মালিক নূর আলী সপরিবারে বিদেশ পালিয়ে যান। বিদেশে বসেই তিনি এ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছেন। ইতোমধ্যে এর সুফলও পাচ্ছেন। জনশক্তি রফতানিতে জাল-জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাত ও অর্থপাচার অনেকটাই ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছেন।
ডিএনসিসির জমিতে ভবন নির্মাণের অসম চুক্তি, চুক্তির বাইরে অবৈধ নির্মাণসহ বিভিন্ন অনিয়ম-অপকর্ম জায়েজ করার কাজেও সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছে। বিষয়টি সুরাহা করতে মন্ত্রণালয় থেকে কমিটিও করা হয়েছে। কমিটির কার্য পরিধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বোরাক রিয়েল এস্টেটের শেয়ার বন্টনের বিষয়টি নিষ্পত্তি। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি উক্ত কমিটির এক সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ছাড়পত্র পাবার অংশ হিসেবে ৭ এপ্রিল, ২০২৫ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর দাবি, মূলত “শেয়ার পুনর্নির্ধারণ” প্রক্রিয়ার আড়ালে পুরো অনিয়ম ও জালিয়াতিকে বৈধতা দেওয়ার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে। সরকারি স্বার্থ দেখার পরিবর্তে মন্ত্রণালয় এবং ডিএনসিসির কর্মকর্তারা নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের দরকষাকষি করছেন পর্দার অন্তরালে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বনানী একটি অভিজাত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৮৪ সালে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য প্রায় তিন বিঘা (৬০ কাঠা) আয়তনের ৪৪ নং প্লটটি (বর্তমানে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ) ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন বরাবর বরাদ্দ প্রদান করে। বরাদ্দ প্রাপ্তির পর মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষ উক্ত প্লটের আংশিক জমিতে ১৬ তলা ভিত্তি সম্বলিত একটি বেইজমেন্টসহ ৩ তলা মার্কেট কাম আবাসিক ভবন নির্মাণ করে। ২০০৬ সালের দিকে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন নিয়ে সেখানে একটি ১৩ তলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই বছরের ৭ মে এ বিষয়ে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ‘বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় সিটি করপোরেশনের। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৪৪ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ভবনের ৩০ ভাগ শেয়ার থাকবে সিটি করপোরেশনের এবং বাকী ৭০ ভাগ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বোরাক রিয়েল এস্টেটের। বোরাকের সঙ্গে এই অসম ও বিতর্কিত চুক্তি নিয়ে তখনই কথা উঠে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে পূর্বের চুক্তি সংশোধন করে ১৩ তলার পরিবর্তে ১৪ তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি বাগিয়ে নেন নূর আলী। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ভবন নির্মাণের পর চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের প্রাপ্য হিস্যা বুঝিয়ে দেয়নি বোরাক। উল্টো, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সিটি করপোরেশনের অবশিষ্ট ১৬ কাঠা জমির উপর ২৮ তলা ভবন বানিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা করছে ডেভেলপার কোম্পানিটি। ডিএনসিসি বা স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে কোনো রকমের চুক্তি বা অনুমতি না নিয়েই ভবন নির্মাণ করে বোরাক।
ভবন নির্মাণের পুরো প্রকল্পে একাধিক নিয়মভঙ্গ ও চুক্তি লঙ্ঘন রয়েছে বোরাক রিয়েল এস্টেটের। চুক্তিনামায় নেই স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন। এ ধরনের উচ্চ ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এসব কিছুর তোয়াক্কাই করেননি নূর আলী। ফলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এই ভবনটির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার জন্য চিঠি দেয়। বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরের ৩০৪ নম্বর স্মারকের এ সংক্রান্ত চিঠিতে এই ভবনের অনুমোদনহীন এবং অতিরিক্ত উচ্চতার স্থাপনা অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যান, রাজউককে বলা হয়। একই তারিখের ৩০৫ নম্বর স্মারকে প্রেরিত এক চিঠিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত সর্বোচ্চ ২০১ (দুইশত এক) ফুট উচ্চতার অতিরিক্ত অংশটুকু দ্রুত অপসারণ করার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনিক হোটেল এবং রিসোর্ট লিমিটেডকে অনুরোধ করা হয়। যেখানে ২০১ ফুট উচ্চতা বলতে সাধারণ ১৮ থেকে ২০ তলা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত অংশ এখনও অপসারণ করা হয়নি। অবৈধ নির্মাণের পর এখন সেটিকে “ভূতাপেক্ষ অনুমোদন” দিয়ে বৈধতার মোড়কে ঢাকতে চলছে প্রশাসনিক তৎপরতা।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং স্থানীয় সরকার বিভাগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও বোরাক রিয়েল এস্টেট এর যৌথ মালিকানাধীন এই ভবনটির ২০ তলা পর্যন্ত শেয়ার বণ্টনের বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভায় বলা হয় “বনানী সুপার মার্কেট-কাম-হাউজিং কমপ্লেক্স-এর ১৪ তলা হতে ২০ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের ভূতাপেক্ষ অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে। মুলচুক্তির সাথে সংগতি রেখে ১৪ তলা হতে ২০ তলা পর্যন্ত ভবনে উভয় পক্ষের শেয়ার এবং চুক্তির শর্ত নির্ধারণপূর্বক সংশোধিত চুক্তিনামা প্রস্তুতপূর্বক অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করতে হবে। ভবনটি কারিগরি বিবেচনায় নিরাপদ ও সঠিক কি-না এবং তা নির্ধারিত কারিগরি বিনির্দেশ অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে কিনা এ বিষয়টি যাচাইপূর্বক সুপারিশ প্রদানের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, গণপূর্ত বিভাগ, রাজউক, ও বুয়েট এর প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ”
এরপর গত ৯ এপ্রিল ২০২৫ ইং প্রশাসক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আওয়ামী লীগ আমলে সম্পাদিত ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখের দ্বিতীয় সংশোধিত চুক্তি অনুযায়ী ভবনের ১৪ থেকে ২০ তলা পর্যন্ত হিস্যা বুঝে নেয় ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। যদিও এই চুক্তিটি ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ডিএনসিসির স্বার্থবিরোধী। মূলতঃ এই হিস্যা বুঝে নেয়ার মাধ্যমে বোরাক রিয়েল এস্টেটের মালিক দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী নূর আলীর অপকর্ম প্রাথমিকভাবে জায়েজ করলো ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে ডিএনসিসির শীর্ষ ব্যক্তিদের কার পকেটে কত পড়েছে সেই গুঞ্জনই চলছে সংশ্লিষ্ট মহলের মধ্যে।
অবৈধ ভবন নির্মাণের কার্যক্রম অনুমোদনসহ ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় সংশোধিত অবৈধ চুক্তিপত্রটির ভূতাপেক্ষ অনুমোদন প্রদানের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। ডিএনসিসি’র প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বোরাক রিয়েল এস্টেটের মালিক নূর আলীর গোপন লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার পরই ডিএনসিসি বোরাকের এতোসব অপকর্ম বৈধ করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গোপন ভাগবাটোয়ারা এখনো কিছুটা বাকি রয়ে গেছে। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে এ নিয়ে দরকষাকষি চলছে।
যে প্রতিষ্ঠান চুক্তি লঙ্ঘন করে দীর্ঘদিন ধরে একচেটিয়া ব্যবসা চালিয়ে এসেছে, আইনের তোয়াক্কা না করে সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, তারাই এখন সিটি করপোরেশনের হিস্যা দেওয়ার জন্য তোড়জোড় চালাচ্ছে। মূলত, তারা বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে সকল অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। তা নাহলে যে কোনো সময় বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে এই ইস্যুটি নিয়েÑ এটা নূর আলী বুঝতে পারছেন।
জানা গেছে, ডিএনসিসির এই ভবন নির্মাণ নিয়ে বোরাক রিয়েল এস্টেট যেসব অনিয়ম-অপকর্ম করেছে তা তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক ইতিপূর্বে বোরাকের মালিক নূর আলীকে একাধিকবার তলবও করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে অবৈধ ক্ষমতার প্রভাবে ওই সময় দুদকের তদন্ত ধামাচাপা দিতে সক্ষম হন নূর আলী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে দুদকের এই তদন্তই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটা বুঝতে পেরেই নূর আলী অপকর্ম জায়েজ করার পথে হাঁটছেন। এদিকে দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টা এবং প্রশাসকও সুযোগটিকে লুফে নিচ্ছেন। সূত্রগুলো বলছে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পক্ষ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নূর আলীর অপকর্ম জায়েজ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দুদকের তদন্ত এবং হাইকোর্টের রিট মামলাকেও তোয়াক্কা করছেন না এরা।
শীর্ষনিউজ