 
              স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম পার্লামেন্টের একমাত্র হিন্দু নারী আইনপ্রণেতা শ্রীমতী কণিকা বিশ্বাস মারা গেছেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
মতুয়াদের তীর্থভূমি গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে কণিকা বিশ্বাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। স্কুল ও কলেজে তৎকালীন আওয়ামী লীগের লড়াকু ছাত্রনেত্রী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ছয়দফার মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতার দাবি সংযুক্তি নিয়ে মতবিরোধের জেরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ গড়ে তোলেন জাতীয় গণমুক্তি দল। কণিকা বিশ্বাস ওই দলে যোগ দেন ও অন্যতম মুখপাত্র হয়ে ওঠেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও জননেতা বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার পর বাকি জীবনটা সমাজের বঞ্চিতদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনে উৎসর্গ করেন।
১৯৭৩ সালে সাংসদ মনোনীত হওয়ার পর বহু জনহিতকর কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত থেকেছেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে শেখ মুজিব ও শীর্ষ নেতাদের হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ভারতে চলে যান।
সেখানেও বহু জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। বিশেষত বঞ্চিত সমাজ ও ছিন্নমূল বাঙালির অভিশাপ মুক্তির যে কোনও আন্দোলনে ছিলেন প্রেরণা স্বরূপ। তার মৃত্যু সংবাদে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাঙালি, বিশেষত মতুয়া সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
 
       
                 
                
 
                                                  
                                                  
                                                  
                                                  
                                                 