Image description

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকে জনমনে সর্বত্র ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনো অপরাধীরা শনাক্ত না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। তবে পুলিশ বলছে, একাধিক পুলিশের টিম এ নিয়ে কাজ করছে, খুব শিগগিরই অপরাধীরা ধরা পড়বে।

এদিকে  ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতা মুকুলের শরীরে শনিবার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে লাঞ্চ থেকে একটি গুলি বের করা হয়েছে।

এভারকেয়ার হাসপাতালে অবস্থানরত জেলা বিএনপির সদস্য হযরত আলী রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত দেড়টায় বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শনিবার দুপুর ২টা থেকে পৌনে সাতটা পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে মুকুল ভাইয়ের শরীরে সফল অস্ত্রোপচার করে লাঞ্চে থাকা গুলিটি বের করা হয়েছে। তবে তার শরীরে থাকা বাকী দুটো গুলি কখন কিভাবে বের করা হবে, সেটি নিয়ে আজ রবিবার দুপুরে ডাক্তারদের বোর্ড মিটিং থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এদিকে শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতা মুকুলের স্ত্রী এভারকেয়ার হাসপাতালে অবস্থানরত বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে মুকুলের মোবাইল নম্বরে কেউ একজন কল করে তাকে (মুকুল) হুমকি দিয়ে বলেছিল, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তাপসের গ্রুপ না ছাড়লে, মুকুলসহ তাপস গ্রুপের একাধিক নেতাকেই এর জন্য মাশুল গুণতে হবে। ওই হুমকির পরই মুকুল শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হন।

’ মুকুলের স্ত্রীর এই বক্তব্য শনিবার দুপুরের পর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম রবিবার রাত পৌনে ২টায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘটনার পর এখনো কেউ মামলা করেনি। তবে পুলিশের একাধিক টিম বিএনপি নেতা মুকুলের স্ত্রীর বক্তব্যসহ সবকিছুই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু ক্লুও পেয়েছি।

আশা করছি, সহসাই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে বাসার সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন নবীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ও বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মুকুল (৫৫) উপজেলা সদরের আদালত সংলগ্ন পদ্মপাড়ায় তিনি আকস্মিভাবে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। সন্ত্রাসীদের তিনটি গুলি তার পিঠে ও কোমরে ঢুকে। ঘটনার পরপরই তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়।