Image description
 

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. রুমানের বিরুদ্ধে জমি দখল, নারী কেলেঙ্কারি, চাঁদাবাজি, নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকাবাসীর ত্রাসে পরিণত হয়েছেন তিনি। রুমানের বাড়ি গুঙ্গিপাড়া গ্রামে।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা বলেছেন, আমরা সাধারণ মানুষ, কখনো আওয়ামী লীগ করিনি। কিন্তু আমাদেরকে বলা হয়েছে, আমরা নাকি আওয়ামী লীগ করি, আমাদের নামে মামলা হয়েছে। আসলে আমাদের নামে কোনো মামলা হয়নি। আমাদের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা নেয়া হয়েছে।

 

জমি দখলের প্রতিবাদ করায় নুরজাহান বেগম ও তার ছেলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে রুমানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নুরজাহান বলেন, আমার স্বামী নেই, দুই সন্তান নিয়ে থাকি। গত বছরের ৫ আগস্টের পর রুমান অন্যায়ভাবে আমার জমি দখল করেন। প্রতিবাদ করলে আমি ও আমার ছেলেকে ৪ ঘণ্টা বেঁধে নির্যাতন করেন। আমি কোনো সুষ্ঠু বিচার পাইনি। চরম আতঙ্কে আমাদের দিন কাটছে।

এ ছাড়া এক গৃহবধূকে প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ার অভিযোগ রয়েছে রুমানের নামে। ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, তিনি মাস চারেক আগে বিয়ে করেছেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই রুমান তার সংসারে নানা অশান্তি সৃষ্টি করেছেন। প্রলোভন দেখিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে অবোইধ সম্পর্ক গড়েছেন। সবশেষ গত সোমবার নিজের স্ত্রী ও রুমানকে হাতেনাতে আটক করেন তিনি। তবে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করে তাকে ছেড়ে দেয়। রুমান বিএনপি নেতা হওয়ায় সালিশে ন্যায়বিচার মেলেনি।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, রুমানের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা রুমান বলেন, ‘নারী কেলেঙ্কারির বিষয়টি সাজানো। এ বিষয়টি সালিশে মীমাংসা হয়ে গেছে। এ ছাড়া যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো প্রমাণ নেই।’

রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাইকেল তালুকদার বলেন, ‘ব্যক্তির দায় দল নেবে না। অভিযোগ পেলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’