Image description
 

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে খালি থাকা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদে আবারও সহকারী শিক্ষক-প্রভাষক নিয়োগে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি জারির 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত' এখনও হয়নি।

 

নতুন করে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করার আগে এ গণবিজ্ঞপ্তি জারির ‘সম্ভাবনা নেই’ বলেও তিনি জানিয়েছেন।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির শূন্য থাকা পদগুলোতে নিয়োগে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে একটা আলোচনা আছে। তবে এ গণবিজ্ঞপ্তি জারির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। নতুন করে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করার আগে আবার গণবিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা নেই। আমারা প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তখন বলা যাবে এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে কিনা।

গত ১৬ জুন জারি করা ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য থাকা ১ লাখ ৮২২টি শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছিল এনটিআরসিএ। ১০ জুলাই পর্যন্ত চলে আবেদন প্রক্রিয়া।

 

গত ১৯ আগস্ট ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করে গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হয়। ৫৯ হাজার ১৯৫টি শিক্ষক-প্রভাষক পদ খালি থেকে যায়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল। ৩৬ হাজার ৩৪৩ জন প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিলেও ৫ হাজার ২৮৪ জন প্রার্থী চাকরিতে যোগ দেননি। ফলে শূন্যপদের সংখ্যা দাড়ায় ৬৪ হাজার ৪৭৯টিতে।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের ভাষ্য, নতুন করে শূন্য হওয়া পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে আবারও এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শূন্যপদের চাহিদা সংগ্রহ করে সেগুলো পূরণে ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ জারি করে থাকে এনটিআরসিএ। শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করতে ই-রেজিস্ট্রেশন, তথ্য সংগ্রহ, সংশোধন ও যাচাই বাছাই করতে কয়েক মাস সময় লাগে এনটিআরসিএর।