Image description

জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, জ্বালানির ঘাটতি ও সংকট তৈরি করেছে একশ্রেণির রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

এ সংকট মোকাবেলায় কাজ করছে সরকার। শনিবার সকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাজনীতিবিদদের সহায়তায় বিপুল সংখ্যক অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে।

শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের একটি হোটেলে ‘টেকসই এলপিজি অর্থনীতি গড়ে তোলা, পরিবেশগত প্রভাব মোকাবিলা এবং নিরাপত্তা জোরদার’ শীর্ষক পলিসি ডিসকাশন অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি।

খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা জানান, রূপসা সহ অনেক নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের লাইন দেওয়া হয়েছে। অথচ দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের সংস্থা বাপেক্স-এর মাধ্যমে নতুন কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এই ঘাটতি পূরণে গত বছর ৮৪ কার্গোর বিপরীতে এ বছর ১০৮ কার্গো এলএনজি আমদানি করতে হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে গ্যাস সংকটের বিকল্প হিসেবে এলপিজি-কে এগিয়ে আনার কথা বলেছেন ফাওজুল কবির খান। তিনি মনে করেন, ‘এলপিজি-র দাম ১ হাজার টাকার নিচে হওয়া উচিত।’ তবে এই দাম কমানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিদেশে টাকা পাচার ও সম্পদ অর্জনের না করে এলপিজি-র দাম কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরও প্রস্তাব করেন, ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ উৎপাদনেও এলপিজি ব্যবহার করা যেতে পারে, এবং এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ভোলা এবং অন্যান্য নতুন স্থানে গ্যাস পাওয়া গেলে বর্তমান সংকট কিছুটা দূর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, বাসাবাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে আর কোনো গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, পাইপলাইনের গ্যাস কেবল শিল্প-কারখানায় সরবরাহ করা হবে এবং গৃহস্থালি পর্যায়ে এলপিজি-কেই একমাত্র বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তিনি মানুষকে দ্রুত সিলিন্ডার গ্যাসে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান জানান।