Image description

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের ব্যাপারে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে গণভোট কখন হবে– তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন নেতারা। গতকাল রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের চূড়ান্ত পর্বের প্রথম দিন দলগুলো এমন অবস্থান জানায়। এর আগে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে ঐকমত্য কমিশন।

সংলাপে বিএনপি আগের অবস্থান থেকে সরে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনে রাজি। দলটি ১০৬ অনুচ্ছেদের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণের প্রস্তাব থেকেও সরে এসেছে। বিএনপি বিরোধিতা করলেও গণভোটের আগে সংবিধান আদেশ জারির মাধ্যমে সনদ কার্যকরের ব্যাপারে অনড় রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি ডিসেম্বরে গণভোট আয়োজনে জোর দিলেও জাতীয় নির্বাচনের দিন এটি আয়োজনের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে বলে মত দিয়েছে।

 

বিএনপি সংস্কারের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্টসহ (আপত্তি) সনদকে গণভোটে দেওয়ার প্রস্তাব করলেও এনসিপি ৮৪ সংস্কারের সবগুলো নিয়ে ‘হ্যাঁ’-‘না’ প্রশ্ন চেয়েছে। একই অবস্থান জামায়াতের। তবে এনসিপিরও নির্বাচনের দিন গণভোটে আপত্তি নেই।

বিএনপি বলছে, যেসব সংস্কারে আপত্তি রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন না করার এখতিয়ার নির্বাচনে জয়ী দলের থাকবে। তবে জামায়াত বলছে, রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্টের চেয়ে জনগণের অভিপ্রায় শক্তিশালী। নোট অব ডিসেন্টসহ গণভোট হতে পারে না।

 

আগামীকাল মঙ্গলবার দলগুলোর সঙ্গে আবার সংলাপ হবে। দুদিনের বিরতিতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় দলগুলোকে মতপার্থক্য কমানোর আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।
পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্তসহ ৯ সংস্কারে বিএনপির আপত্তি। বিএনপি ও এনডিএম ছাড়া বাকি দলগুলো উচ্চকক্ষে পিআর চায়। সংলাপ সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি উচ্চ কক্ষে পিআরের আপত্তি তুলে নিলে, বাকি বিষয়ে গণভোটের ব্যাপারে আপত্তি থাকবে না।

সংলাপে যুক্তি পাল্টা যুক্তি, সওয়াল-জবাব

গতকালের সংলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মতামত দেন– সংবিধানে হাত না দিয়ে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অধ্যাদেশ’ জারি করে নির্বাচন কমিশনকে গণভোট আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব। কারণ, সংবিধানে বলা নেই, জাতীয় ইস্যুতে গণভোট করা যাবে না। গণভোটে আগামী সংসদ সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের তথা কন্সটিটুয়েন্ট ক্ষমতা (সংবিধান প্রণয়ন বা রহিত) পাবে। গণভোটে জুলাই সনদ জনগণ অনুমোদন করলে, তা বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে আগামী নির্বাচনে গঠিত সংসদ। সেখানে সাংবিধানিক সংস্কারের পর আরেকটি গণভোট হবে ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী।

প্রস্তাবটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে জামায়াতের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, জুলাই সনদে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার রয়েছে। ১৪২ অনুচ্ছেদ স্পর্শ না করে কীভাবে গণভোটে সংস্কার করা হবে? জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণভোটে সংবিধান সংস্কার হবে না। বরং সংস্কারের প্রস্তাবগুলো আগামী সংসদে বাস্তবায়নের জন্য বাধ্যবাধকতা তৈরি করবে।

শিশির মনির সাংবিধানিক আদেশে নির্বাচনের আগে সনদ কার্যকরের কথা বললে তাতে আপত্তি জানায় বিএনপি। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসিন তখন বলেন, সাংবিধানিক আদেশ নাম দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ বা অন্য কোনো নাম দেওয়া যেতে পারে সমঝোতার জন্য।

সালাহউদ্দিন আহমেদ এর আগে বলেন, গণভোট হলে সংবিধান আদেশ জারি বা ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালতের মতামত গ্রহণ জরুরি নয়। সংবিধান আদেশ জারির বিষয়ে শিশির মনিরের যুক্তি খণ্ডন করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের সংবিধান প্রণয়ন বা রহিতের ক্ষমতা (কন্সটিটুয়েন্ট পাওয়ার) এবং সংবিধান সংশোধন (অ্যামেন্ডমেন্ট পাওয়ার) ক্ষমতা নেই। থাকলে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যের জন্য ডাকত না।

এর আগে শিশির মনির বলেন, শুধু জনগণের কনস্টিটুয়েন্ট এবং অ্যামেন্ডমেন্ট ক্ষমতা রয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গঠিত সরকারকে জনগণ এ দুই ক্ষমতা দিয়েছে। এ ক্ষমতা বলে সংবিধান সংস্কার হলে ভবিষ্যতে আদালতে তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।

সালাহউদ্দিন আহমেদ এ বক্তব্য খণ্ডন করে পরে বলেন, গণভোট তথা জনগণের সার্বভৌম মতামতে জুলাই সনদ গৃহীত হলে তা ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ হবে না। নির্বাচনের দিনে গণভোট হলে আগামী সংসদ সাধারণ সংসদের মতো হবে না। সংসদ নিজের মতো নয়, সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করবে। আগামী সংসদ অন্তর্বর্তী সরকারের সব কাজের বৈধতা দেবে সংবিধানের চতুর্থ তপশিলে।

নোট অব ডিসেন্ট প্রশ্নে শিশির মনির আদালতের রায়ের নজির দিয়ে বলেন, ভিন্নমত পোষণকারী বিচারকের রায় কার্যকর হয় না। রায় হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। সংস্কারের সিদ্ধান্তে থাকা, কিছু দলের নোট অব ডিসেন্টও তেমন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্তে নোট ডিসেন্ট দালিলিকভাবে থাকলেও তা কার্যকর নয়।
নিজের মতামতে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই সনদ আদালতের রায় নয়; রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। পরে বক্তব্যের এক পর্যায়ে শিশির মনির বলেন, গণভোট সংসদ নির্বাচনের সঙ্গেও হতে পারে। তবে আগে সাংবিধানিক আদেশে সংস্কার কার্যকর হতে হবে, যা পরের সংসদ অনুমোদন করবে।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সংস্কারের জন্য আগামী সংসদকে গণভোটের মাধ্যমে কনস্টিটুয়েন্ট পাওয়ার দিতে হবে।

গণভোটে রাজনৈতিক ঐকমত্য : কমিশন

সংলাপের পর কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। তাদের সম্মতির জন্য গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে, যা সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বড় পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, ১১, ১৪ ও ১৭ সেপ্টেম্বর সংলাপের পর দলগুলোকে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। তারা গণভোট ও সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে একমত হয়েছে।

আগামী সংসদের কাঠামো সম্পর্কেও প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে গঠিত সংসদকে এমন বৈশিষ্ট্য দিতে হবে, যাতে জুলাই সনদের সাংবিধানিক সংস্কার করা যায়। এতেও দলগুলো সম্মত হয়েছে। তারা দলীয় অবস্থান থেকে সরে এসে জাতীয় ঐক্য তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে মনে হয় এগোতে পেরেছি: সালাহউদ্দিন

সংলাপ শেষে সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি। মোটা দাগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে মনে হয় আমরা এগোতে পেরেছি।

গণভোটের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল সমগ্র জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করে কিনা– এ প্রশ্ন রয়েছে। তাই জনগণের সম্মতি নিতে, গণভোট একটি চূড়ান্ত অভিমত। গণভোটে যে জনরায় আসবে, তা সার্বভৌম ক্ষমতার রায়। সব সংসদ সদস্য তা মানতে বাধ্য হবেন।

আগামী সংসদে জুলাই সনদের বিরোধী এমপিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়, তবে কি তারা গণরায় মানতে বাধ্য থাকবেন– সাংবাদিকদের প্রশ্নে সালাহউদ্দিন বলেন, জনরায় চূড়ান্ত।
গণভোট দিয়ে আগামী সংসদকে জুলাই সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কারে বাধ্যবাধকতা দেওয়া যায় কিনা– প্রশ্নে তিনি বলেন, সংসদ সব সময় সার্বভৌম। তবে গণভোটের রায়কে উপেক্ষা করা যায় না।

নোট অব ডিসেন্ট থাকা সংস্কারের বিষয়ে কী হবে– প্রশ্নে সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই সনদ প্রণীত হবে, স্বাক্ষরিত হবে, অঙ্গীকারনামায় সবাই সই করবেন। জনগণ জানবে জুলাই সনদে কী আছে। যারা ম্যান্ডেট পাবে, তারা তাদের নোট অব ডিসেন্ট অনুসারে যেতে পারবে।

সংবিধান আদেশের মাধ্যমে নির্বাচনের আগে সাংবিধানিক সংস্কার কার্যকরে আপত্তি কেন– প্রশ্নে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সংসদ ছাড়া আর কী ফোরাম আছে, যদি আপনারা বলে দিতেন?’

নির্বাচনের আগে গণভোট চায় জামায়াত

সনদ বাস্তবায়নে নির্বাচনের আগে গণভোট দাবি করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেন, আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটে বিএনপিসহ সব দল একমত। জনগণ গণভোটে অভ্যস্ত নয়। তবে জামায়াত মনে করে, জাতীয় নির্বাচন কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়া করতে গণভোট নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে হতে পারে। সংসদ নির্বাচনের তপশিলের আগেও হতে পারে। গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই। এতে আমরাও বাঁচি, জাতিও বাঁচে। তবে গণভোট আগে না পরে– এটি নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

হামিদুর রহমান বলেন, গণভোটের রায় আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। আবার সংসদও প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না।

বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব নেই দাবি করে তিনি বলেন, গণভোটের ফল বিপক্ষে গেলেও জামায়াত মেনে নেবে। গণভোটের মাধ্যমে সংস্কারের জন্য জামায়াত সব সময় সোচ্চার ছিল। সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটের পক্ষে সবাই মত দিয়েছে।

সনদের আইনি ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে উঠছে

জুলাই সনদের আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি নিশ্চিত করতে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ধীরে ধীরে ঐকমত্য গড়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, প্রায় সব রাজনৈতিক দল একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে– জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি আগে নিশ্চিত করতে হবে।

তুষার বলেন, কমিশন এক সময় প্রস্তাব দিয়েছিল সংবিধান আদেশ জারির। কিছু দল আবার বলেছিল ‘লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার’ বা ‘রেফারেন্ডাম অধ্যাদেশ’ করতে। এনসিপি বলছে, নাম যাই হোক, এর ভিত্তিতে গণভোট হতে হবে এবং তা নির্বাচনের দিনেই করা যেতে পারে।

এনসিপির দাবি ছিল সংসদের আগে গণপরিষদ গঠন। তুষার বলেন, পরবর্তী নির্বাচিত সংসদকে দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন করতে হবে। শুধু আইন প্রণয়নকারী সংসদ হিসেবে কাজ করবে না। সাংবিধানিক পরিবর্তন আনার এখতিয়ারও থাকতে হবে। কিছু সংস্কার শুধু সাংবিধানিক সংশোধনে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যেমন প্রধানমন্ত্রীর পদ ১০ বছরে সীমাবদ্ধ করা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টে বেঞ্চ স্থাপন। বিএনপিও এখন কিছুটা নমনীয় হয়েছে গণভোটে।

নোট অব ডিসেন্টসহ গণভোটের বিরোধিতা করে সারোয়ার তুষার বলেন, গণভোট হবে পুরো জুলাই সনদ নিয়েই। ৮৪ বা ৮৬টি প্রশ্নে গণভোট হয় না। প্রশ্ন থাকবে– জনগণ জুলাই সনদ অনুমোদন করে কিনা– এ ধরনের ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ প্রশ্ন।

গণভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আপত্তির আশঙ্কা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখনকার সংবিধানের আলোকে কথা বলে। রাজনৈতিক দলগুলো এক হলে জনগণও জুলাই সনদ এবং গণভোট মেনে নেবে।

প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

সংলাপের আগে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের সভা হয় যমুনায়। প্রধান উপদেষ্টা এ কমিশনের সভাপতি। আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে সরকার প্রধানকে জানান। তিনি দ্রুততার সঙ্গে সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি সুপারিশের তাগিদ দিয়েছেন।

আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের বর্ধিত মেয়াদ অর্থাৎ ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারকে দেওয়া হবে। সনদ সইয়ের জন্য ৩০ রাজনৈতিক দলের তিন-চতুর্থাংশ দল দলীয় প্রতিনিধির নাম দিয়েছে।

সভা সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, সনদ বাস্তবায়নে সরকারপ্রধানকে শক্ত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হলে, কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল যেসব পরামর্শ দিয়েছে, সেভাবে সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে সাংবিধানিক সংস্কার কার্যকর করে নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট কিংবা আগামী সংসদকে নির্ধারিত সময়ের জন্য গণপরিষদ হিসেবে গণ্য, সেখানে সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন। যমুনার সভা সূত্র জানিয়েছে, সরকারপ্রধান রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়েছেন। তা সম্ভব না হলে, তখন কী করা হবে, এ সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্রহণের কথা বলেছেন ড. ইউনূস।