Image description
শে খ হা সি নার প্রচন্ড ফ্র্যাজাইল কনজুগাল লাইফ, পুতুল, জয়ের ডিভোর্সের পর আজকে জানলাম শে খ রেহানার হাসব্যান্ডের সাথেও তার বহু আগেই ডিভোর্স হয়ে গেছে। মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ঘাটাঘাটি বা আগ্রহ কখনোই পছন্দ করি না। কিন্তু এই ধরনের মানুষ যারা কি না আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে ছিলেন, তাদের এরকম ফ্র্যাজাইল কনজুগাল লাইফ আমাদের জাতীয় জীবনে কিরকম ইম্প্যাক্ট ফেলে সেটার জন্য বলতে বাধ্য হই।
ব্যতিক্রম হিসেবে দুই একজনের বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটতেই পারে, কিন্তু একটা পুরো ফ্যামিলি কেন এরকম ভঙ্গুর হবে? এরা আমাদের পারিবারিক নর্মস আর কালচারই বা কি শেখাবে?
 
 
 
জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়ার কাপল ছবিগুলো দেখেন। কি প্রাণবন্ত, ভালোবাসাপূর্ণ! কোন কৃত্রিমতাহীন অর্গানিক ফিল পাবেন। উল্টোপিঠে আপনি ওয়াজেদ আর হা সি নার এরকম ছবি খুঁজুন, আঁতিপাঁতি খুঁজেও এরকম ছবি পাবেন না।
অথচ জিয়া নাকি খালেদা জিয়ার সাথে সংসার করতে চাননি, মু জি ব তাদের ঘর ঠিক করে দিয়েছেন, জিয়ার গার্লফ্রেন্ড ছিল এসব আলাপ সমানে সকাল-বিকাল করে বেড়াতো শে খ হা সি না। অনেকে হয়তো মজা নিতেন, কেউবা পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিতেন। কিন্তু ওর এরকম অদ্ভুত ক্লেইমের কারণ কখনো ভেবেছেন?
 
বোঝা খুব কঠিন কিছু না, ওর ভেতরের দগদগে হিংসা আর তৃষ্ণা। যার নিজের কনজুগাল লাইফ ঠিক নাই, তার সামনে তারই আজন্ম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেকটা ছবির মতন কাপল, যাদেরকে পুরো বাংলাদেশ এডামায়ার করে, এটা হা সি নার মতন ভয়ংকর অসুখী মানুষ কি করে সইবে? সে কারণেই নিজের সমস্ত অপ্রাপ্তি আর হিংসাকে দাঁতমুখ খিচায়ে বিষ বানিয়ে সংবাদ সম্মেলনগুলোতে প্রচার করতো। আর জা নো য়া রেরা তাতে হাততালি দিয়ে সহমত জানাতো!
রুচির কি নিকৃষ্ট বিকার!
মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি মোটেও আগ্রহী না, কে তার বেডরুমে কি করলো কার সাথে কেমন বোঝাপড়া হলো এগুলো নিয়ে আলোচনা করা নিতান্তই নিম্নরুচির কাজ মনে হয়। কিন্তু হা সি না এমন একটা জায়গায় জিনিসটাকে নিয়ে গেছে যে, এইটা নিয়ে চুপ থাকাও কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ ওর হিংসার ভিক্টিম হই আমরা সবাই, ওর নোংরামি ছাট আমাদের উপরে এসে লাগে, ওর দগদগে হিংসাটাকে নিয়ে গেছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে, আমরা তো কান-নাক বন্ধ করে রাখতে পারি না। আমরা বা আমাদের ছেলেমেয়েরা ওর থেকে কি শিখবে! এমন কি এমনকি বেগম জিয়ার সাথে নিজের স্বামীকে জড়িয়েও নোংরামি করে গেছে এই মহিলা।
ও নিজে কখনোই দাম্পত্য জীবনে সুখী ছিল না, স্বামীর সাথে তার ভয়ংকর দাম্পত্য কলহ ছিল সবার মুখে মুখে। ওয়াজেদের সাথে তার কলহের সংবাদ দেশ ছাড়িয়ে বৃটিশ মিডিয়ার হেডলাইনও হয়েছিল। অসম্ভব রকমের বেদনাদায়ক হলেও সত্য, তার ছেলেমেয়েরাও একই পথের পথিক হয়েছে। খুবই স্বাভাবিক, পারিবারিক শিক্ষা এমন এক জিনিস যেটা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। যে তার বাবা-মাকে কখনো সদ্ভাবে-শান্তিতে থাকতে দেখেনি, তারাও যে শান্তি পাবে এমনটাও খুব সহজ কিছু না।
একটা কুৎসিত আর টক্সিক আত্মা এইভাবেই আমাদের চারপাশ দূষিত করে বেড়ায়। না নিজে শান্তিতে থাকে, না অন্যকে শান্তিতে থাকতে দেয়। নিজের মনের সব নোংরামো বালতি উপুড় করে ঢেলে দেয়, এই বিষ ছড়িয়ে বেড়ায় এদিক-সেদিক!