কদরুদ্দীন শিশির (Qadaruddin Shishir)
রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলবো না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারপরও গত কয়েকদিনে একটা ঘটনা কিছুটা প্রত্যক্ষ করে ভাবলাম একটা পোস্ট দেই।
এই ছবিটা একটা ভিডিও থেকে নেয়া। সেই ভিডিটা শুনতে বসেছিলাম। পুরোটা পারিনি। সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রীর মুখের ভাষা সম্পর্কে তো সবার জানাই আছে। সে তার ক্লাসিক সেই ভাষায় প্রায় ১০ মিনিট ধরে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর বিধবা স্ত্রীকে নিয়ে নোংরা কথা বলছে। খালেদা জিয়া এবং কোকোর স্ত্রীকে নিয়ে অবর্ণনীয় ভাষায় নোংরা কথা বলে যাচ্ছে। বয়স্ক এবং ভদ্রমহিলাদের নিয়ে এত নোংরা আলাপ শোনা যায় না, তাই পুরোটা শুনতে পারিনি। কিন্তু মুরাদের পাশে বসে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক নজরুল ইসলাম মুচকি মুচকি হেসে সেই নোংরা কথাগুলো রসিয়ে রসিয়ে এনজয় করছেন বলেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে।
নজরুল নিজে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণও আছে যে, হাসান মাহমুদ, মুরাদ এবং আরাফাতের খুবই ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হয়েছিলেন তিনি তার প্রতিষ্ঠানে এসব নোংরামিকে প্রশ্রয় দিয়ে দিয়ে। এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ আছে, এবং প্রমাণ আছে তার ভুয়া সনদ থাকার।
মজার বিষয় হলো, এই কর্মকর্তাকে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক করার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন বিএনপির কিছু লোকজন! কারণ, নজরুল নাকি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন শাহজালাল ইউনিতে পড়ার সময়!
ছবিতে তার যেই মূহূর্তের মুচকি হাসিটা দেখা যাচ্ছে সেই মুহূর্তে মুরাদ বলছিল, "হজ করতে এই বেগম জিয়া যায় ফালুকে নিয়া।... খালেদা হইলো ফালুর কলমা পড়া বউ...।"
এইভাবেই বিএনপি প্রশাসনে ‘নিজেদের লোক‘ বসাচ্ছে। চমতকার না?