Image description

নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি নাহিয়ান আজম ইভনকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার রাতে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের সামনে এ হামলার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ইভন ফতুল্লার ইসদাইরের সুগন্ধা আবাসিক এলাকার আজম বাবুর ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। হত্যা ও হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইভন। এ ছাড়া গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিলের ঘটনায় পল্টন থানায় করা একটি মামলাতেও ইভন আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।

ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, “রোববার রাত ৮টার দিকে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের সামনে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাকে শহরের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।”

নিহত ইভনের বড়ভাই মো. রাফিনের অভিযোগ, একই এলাকার শফিকুল ইসলাম, তার দুই ভাই সাইফুল ও বাবুসহ একদল সন্ত্রাসী রোববার রাতে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ইভনকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ইভনের সঙ্গে থাকা নাছিম নামের একজনকে আহত করা হয়। সন্ত্রাসীরা ইভনের মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসা ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাইফুল গ্রুপের সঙ্গে ইভনের বিরোধ ছিল। মাসখানেক আগে সাইফুল ও তার লোকজনকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে মারধর করে ইভন ও তার সহযোগীরা। এতে ইভনের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল সাইফুল।

সোমবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) মো. হাছিনুজ্জামান জানান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইভন। তিনি ইসদাইর এলাকায় কিশোর অপরাধীদের একটি দলের নেতৃত্ব দিতেন। মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইভনের সঙ্গে স্থানীয় আরেকটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছিল। এর জেরে তাদের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ ইতোমধ্যে হামলাকারী কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছে। তাদের আটক করার চেষ্টা চলছে।

শীর্ষনিউজ