
ব্যাংক লোকসানে থাকলে সেই ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাই বোনাস পাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকের মূলধন যদি ১০ শতাংশের নিচে নেমে যায় এবং প্রভিশন ঘাটতি থাকে, তাহলে সে ব্যাংক কোনোভাবেই ডিভিডেন্ড বা বোনাস দিতে পারবে না।’
প্রবাসী আয়ে হুন্ডির প্রভাব কমে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘আগে হুন্ডির মাধ্যমে প্রায় ৩০ শতাংশ লিকেজ হতো প্রবাসী আয় থেকে। এখন তা অনেক কমে এসেছে। অর্থ পাচারের প্রবণতাও হ্রাস পেয়েছে, যার পেছনে সুশাসনের বড় ভূমিকা রয়েছে। ফলে রিজার্ভেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’
তিনি জানান, গত এক মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে এক বিলিয়ন ডলার কিনলেও ডলারের দাম বাড়েনি। তবে ডলারের সংকট না থাকলেও দেশে বর্তমানে টাকার সংকট রয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে গভর্নর বলেন, ‘আগস্টে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে আমরা এটি ৫ শতাংশের নিচে নামাতে বদ্ধপরিকর। এটা একদিনে হবে না, সময় লাগবে।’
গভর্নর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জুন মাসের খেলাপি ঋণের রিপোর্টে প্রায় ৩০ শতাংশ খেলাপির আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, আগামী রবিবার থেকে সরকারের সঙ্গে ৫টি ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এই উদ্যোগ সফল হলে এক-দুই বছরের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াবে। এতে কর্মকর্তাদের চাকরি ও আমানতকারীদের অর্থ দুটোই সুরক্ষিত থাকবে।’