
সরকার ও প্রশাসনের ওপর প্রথম আলোর প্রভাব কিংবা প্রথম আলোর একটি অবস্থানকে সরকার কতটা দাম দেয়- এটি দেখলে বিস্মিত হতে হয়। জুলাই যোদ্ধাসহ অনেকেই প্রথম আলোর ব্যাপারে একটি সময়ে সরব হয়েছিলেন। এখন তো সবই সহনীয় মাত্রায় নেমে এসেছে।
কিন্তু যখন তারা সরব ছিলেন, তখনও প্রধান উপদেষ্টা প্রথম আলো সম্পাদককেই ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। এটিই হলো বাস্তবতা।
প্রথম আলোর সেই প্রভাব এখনো দিব্যি বহাল রয়েছে। কয়েকদিন আগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ব্যাপারে একটি রিপোর্ট করেছিল প্রথম আলো।
এতে দাবি করা হয় কমিশনার সাহেব ঢাকা থেকে গাজীপুরে গিয়ে অফিস করেন এবং তার আসা যাওয়ার সময় রাস্তার এক সাইড বন্ধ রাখা হয়।
এই প্রতিবেদনের পর বেশ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নানা মহলে। একটি পর্যায়ে কমিশনার সাহেব নিজেই ফেইস দ্য পিপলের অফিসে গিয়ে একটি সাক্ষাতকারও দিয়েছিলেন।
এতে তিনি নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছিলেন। প্রথম আলো যে বিপ্লবের চেতনা বিরোধী এবং সে কারণে বিপ্লবের সময় যারা ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকে বিতর্কিত করার জন্য তারা প্রয়াস চালাচ্ছে তাও তিনি দাবি করেছিলেন।
আমি কমিশনার সাহেবের এসব মন্তব্যের সত্যতা জানি না। প্রথম আলোর প্রতিবেদনটিরও সত্যতা জানি না। তবে আমার কাছে যা গুরুত্ব পেয়েছে তাহলো, ফেইস দ্য পিপলে এসে কথা বলেও তিনি তার চেয়ার ধরে রাখতে পারলেন না। এক্ষেত্রেও প্রথম আলো জয়ী হলো।
সেদিনের প্রতিবেদনের জেরেই হয়েছে কিনা জানি না- তবে সেই গাজীপুর পুলিশ কমিশনারকে গতকাল এক সরকারী আদেশের মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এই খবরটাও আজ প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো...