
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা নিয়ে রিট আবেদন করেছিলেন বামজোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১’ ও ‘অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম। এ নিয়ে হাইকোর্ট সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডাকসুর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন। তবে পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত সেই স্থগিতাদেশ বাতিল করেন।
রিট আবেদনকারী ফাহমিদা আলমকে লক্ষ্য করে ‘গণধর্ষণের পদযাত্রা’ করার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ঢাবির শিক্ষার্থী আলী হুসেন। মুহূর্তে তার স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, বরং এটি তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা।
ঘটনাটির কঠোর সমালোচনা করেছেন ও শাস্তি দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে গণধর্ষণের পদযাত্রার হুমকি দেওয়া ঘৃণাজনিত অপরাধ (হেইট ক্রাইম)। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ, যা পক্ষপাতমূলক মানসিকতা থেকে সংঘটিত হয় এবং ভুক্তভোগীর পরিচয়ের কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়।”
তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, “ভাবুন, এই মানসিকতার মানুষেরা যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যায়, তাহলে রাষ্ট্রকে নারীর জন্য দোজখ বানিয়ে ফেলবে। পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন হেইট ক্রাইম করলে তার ছাত্রত্ব বাতিল হতো এবং আদালতে বিচার হতো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।”