Image description

ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ আকনের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে লাঞ্ছিত ও দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াছ। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফেনী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মো. ইলিয়াছ সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড পান্ডব বাড়ির মো. আব্দুল হাদীর ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে মো. ইলিয়াছ বলেন, ‘গত ৬ আগস্ট শাওন নামে একজনের কাছ থেকে আমার ব্যবসা সংক্রান্ত পাওনা টাকা আদায় ও নিরাপত্তা চেয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিকবার বিবাদী শাওন অনুপস্থিত থাকায় বৈঠক হয়নি। তারপর আমি তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়াকে নিরপেক্ষ তদন্ত করে সত্য ঘটনার প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণের অনুরোধ করি। ২৩ আগস্ট আকস্মিক পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, থানার ওসি বায়েজীদ আকন স্বয়ং এ বিষয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে আমাকেও উপস্থিত হতে বলেন। তবে আমি ও আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অপারগতা প্রকাশ করে পরবর্তীতে উপস্থিত হব বলে জানাই।’

বক্তব্যে এ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘তারপর থেকে আমার বাড়িতে একাধিকবার পুলিশ পাঠানো হয়, যদি দ্রুত সময়ে থানায় উপস্থিত না হই তাহলে পরিবারের অন্য সদস্যদের থানায় আটক করে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে ২৬ আগস্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে জোরপূর্বক আমাকে সালিশি বৈঠকে উপস্থিত করানো হয়। আমি নিজে বাদী হলেও কোনো তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ না দিয়ে বিবাদীর কাছ থেকে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিয়ে ওসি বায়েজীদ আকন আমাকে থানায় তার কক্ষে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন বিবাদীকে দুই দিনের মধ্যে টাকা দিতে আমাকে নির্দেশনা দেন। এ সময়ে টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আমাকে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় আসামি করার হুমকি প্রদান করেন। বর্তমানে এসব হুমকির কারণে সোনাগাজী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমিসহ পরিবারের নিরাপত্তা ও এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ আকন বলেন, অভিযোগকারী আপাদমস্তক এক প্রতারক প্রকৃতির লোক। তার পাওনাদারকে টাকা না দেওয়ার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আমার বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ সত্য নয়।