ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার কলকাতার নিকটবর্তী সোনাপুর ও মুর্শিদাবাদ থেকে তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ।
ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ‘অবৈধভাবে’ ভারতে প্রবেশের অভিযোগে কলকাতার নিকটবর্তী সোনাপুর থেকে ৫ জন এবং মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সোনাপুর থেকে আটক হওয়ারা হলেন— তুষার আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, সামিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শামিম ও মোহাম্মদ জলিল। এই পাঁচজনের মধ্যে ৪ জন বৈধভাবে ভারতে এলেও জলিল অবৈধভাবে এসেছেন বলে জানা গেছে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেছে করেছিলেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, আটকৃতদের মধ্যে জলিল ভারতে এসে জাল আধার কার্ড তৈরি করেছেন। এ ছাড়া একজনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের থানায় মামলা রয়েছে। আরেকজন চীনে গিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া প্রত্যেকের কাছেই বাংলাদেশের সিম কার্ড পাওয়া গেছে।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেছেন বলেও জানা গেছে। তারা সবাই একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। রোববার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ বৈকুন্ঠপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
আটকৃত বাংলাদেশিরা কোনো অপকর্মে জড়িত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বারুইপুর পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ দিকে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি এবং একজন মালদার বাসিন্দা। বাংলাদেশি দুজনের নাম মেহেবুব আলম ও অমিত চাঁদ। তারা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।