Image description

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। আমরা চাই বা না চাই—একটি নির্বাচন হলে বিএনপিই ক্ষমতায় যাবে। অর্থাৎ, যত জরিপই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপিই জয়ী হবে। যদি ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তাঁর উপদেষ্টা পরিষদ মনে করেন যে বিএনপির সঙ্গে একটি কার্যকর সম্পর্ক তৈরি করা উভয় পক্ষের জন্যই ইতিবাচক হবে, তবে এটিকে আমি একটি শুভ বার্তা বলব।

 
তাহলে কেন নয়? বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে এই সরকারের শত্রু বানানোর কোনো কারণ নেই।

 

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, “এই সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, অর্থাৎ এটি কোনো রাজনৈতিক দল-সমর্থিত সরকার নয়। আমরা আশা করি ভবিষ্যতের নির্বাচনে তারাও অংশ নেবে না।

 
এই সরকারের কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকবে বলেও আমরা মনে করি না। তাই বিএনপি হোক, জামায়াত, এনসিপি বা বাম দল—সবার সঙ্গে একটি কার্যকর সম্পর্ক থাকাটা দেশের জন্যই মঙ্গল।”

 

চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি ৪ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী বহিষ্কার করেছে। কিন্তু সেটি কেন কার্যকর হচ্ছে না, সেটিও আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।

 
এর ফলে বিএনপির ইমেজ সংকটে পড়ছে। আপনারা আমাদের পেলেই চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ তুলেন। অথচ আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি টাকাও এদিক-সেদিক করিনি। তবুও আমাকে এর জবাব দিতে হচ্ছে—যা আমার জন্য মোটেও সুখকর নয়। যদি সত্যিই আমি বালুমহল দখল করতাম, পাথর বা মাটি কাটার ব্যবসায় জড়িত থাকতাম, তাহলে আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে আমার কোনো সমস্যা হতো না।
 
কিন্তু আমি কিছুই করিনি।”

 

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত—সবাই মিলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে মাটি আর বালুর ব্যবসা করছে। তাহলে সরকার কী করছে? এই সরকার তো বিএনপির নয়, আওয়ামী লীগের নয়, জামায়াতের নয়, জাতীয় পার্টিরও নয়। এটি একটি নন-পলিটিক্যাল সরকার। তাহলে নন-পলিটিক্যাল সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না?”