Image description
 

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের কাপড়বোঝাই (ফেব্রিক্স) দুটি কনটেইনারের হদিস মিলছে না। নিলামের পর সব শুল্ককর পরিশোধ শেষে ডেলিভারি নিতে গেলে কনটেইনার না পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকা থেকে কিভাবে কনটেইনার গায়েব হলো তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মো. সেলিম রেজা বলেন, নিলামে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিড পেয়েছি। সেই মোতাবেক সব টাকা পরিশোধের পর কনটেইনার ডেলিভারির জন্য বন্দরে যাই। কিন্তু দিনভর খুঁজেও কনটেইনারটি পাইনি। একপর্যায়ে সিকিউরিটি ইনচার্জ আমাকে জানান, কনটেইনারটি পাওয়া যাচ্ছে না। সেই থেকে গত ৭ মাসে এ বিষয়ে কাস্টমসের কমিশনার বরাবর ৩টি চিঠি দিয়েছি; কিন্তু মালও পাচ্ছি না, টাকাও ফেরত পাচ্ছি না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগও দেখছি না।

 

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে ৮৫ লাখ টাকায় প্রায় ২৭ টন ফেব্রিক্স কিনেন শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা। নিলামের আগে ইয়ার্ডে কনটেইনারে পণ্যও পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর পণ্য ডেলিভারি নিতে মূল্য, শুল্ককর ও বন্দরের চার্জসহ ১ কোটি ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। অথচ ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাক নিয়ে বন্দরের সংশ্লিষ্ট ইয়ার্ডে গেলে দিনভর খোঁজাখুঁজি শেষে জানানো হয় কনটেইনারটি নেই। ছয় মাস চলে গেলেও সেই কনটেইনারের হদিস মেলেনি। একইভাবে সম্প্রতি নিলামে বিক্রি করা ৪২ লাখ টাকার কাপড়সহ আরেকটি কনটেইনার গত প্রায় এক মাস ধরে খোঁজ মিলছে না

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, আমাদের কাছে এমন দুইটি অভিযোগ এসেছে। প্রথমে আমরা বন্দরে চিঠি দিয়ে জানতে চাই মালামাল পাওয়া যাচ্ছে কিনা। বন্দর যদি কনফার্ম করে যে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব না তখন আমরা রিফান্ডের প্রসেসে চলে যাব।

 

 

 

তবে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৮ থেকে ৪৯ হাজার কনটেইনার রয়েছে। এর মধ্যে হ্যান্ডলিংয়ের সময় হয়তো একটি কনটেইনার যে স্থানে থাকার কথা সেখানে নেই। অন্য কোথাও ঠিকই রয়েছে। খোঁজা হচ্ছে। মিসিং হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাওয়া গেলে জানানো হবে