
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনীতির সমীকরণ পালটে গেছে। মানুষ এখন অনেক সচেতন এবং প্রতিবাদী। আগের মতো কেন্দ্র দখল কিংবা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় ভোট কিনে এমপি হওয়ার দিন শেষ। জনগণ তার পছন্দমতো যোগ্য নেতৃত্বকে বাছাই করবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকে গণসংযোগ চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে কিশোরগঞ্জ অনেক বড় বড় নেতা পেয়েছে; কিন্তু এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় নাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণরা নেতৃত্ব দিয়েছে। এই তরুণরা প্রমাণ করেছে, কোনো ভয়ের কাছে তারা আপস করে না। এই তরুণদের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। কিশোরগঞ্জের মানুষ আগামী নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্বকে বেছে নেবে।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়। এক বছর পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে পারে নাই। বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের আটক করলেও কয়েক দিন পর জামিনে বের হয়ে আসে। তারা আবারও অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। এসব অপরাধীদের অনেকের নামে ১৫ থেকে ২০টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে।
আবু হানিফ বলেন, এ সরকারের আমলে শীর্ষ অনেক সন্ত্রাসী জামিনে বের হয়েছে। অপরাধীদের আটকের পাশাপাশি বিচার নিশ্চিত করা না গেলে অপরাধ কমবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ চায় ৫৪ বছরের রাজনীতির সংস্কৃতির পরিবর্তন হোক। বিদ্যমান কাঠামোর সংস্কার হোক। পুরোনো ব্যবস্থা এখন আর জনগণ চায় না।
মানুষের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে সংস্কার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে। যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল, সে ফ্যাসিবাদ জনগণ আর মেনে নেবে না।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী অভি চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান, প্রচার সম্পাদক মোমিন উদ্দিন জনি, গণনেতা নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি ইমন খান, সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।