
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ফুটপাত দখলের রাজত্ব চলছে। সদরের আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুটপাতসহ হাটবাজারের অলিগলি দখল করে গড়ে উঠেছে ভাসমান ব্যবসা কেন্দ্র।
সড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে পার্কিং ব্যবস্থা। সেখানে প্রতিনিয়ত গাড়ি রাখা হয়। এতে করে সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সড়কে সৃষ্ট যানজট দেখেও না দেখার ভান করছে দখলদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে। তাছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ রিকশা রাস্তা দখল করে আছে নিজেদের মতো। ফলে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জগন্নাথপুর বাজারজুড়ে যান চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। ফুটপাত ব্যবহারে পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের পৌর পয়েন্ট, টিঅ্যান্ডটি, মাদ্রাসা পয়েন্ট ও পুরোনো মাছের আড়তসহ প্রতিটি পয়েন্টের মূল সড়কে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসিয়েছে ভ্রাম্যমাণ হকার। এর পাশেই লাইনে অটোরিকশাগুলো। সড়কে নেই যান চলাচলের জায়গা।
অন্যদিকে ফুটপাতে পা ফেলার জায়গা নেই। এর মধ্যে আবার অবৈধভাবে দখল নিয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন। সড়ক ও ফুটপাত দখল বাণিজ্যের কারণে চলাচল করা মানুষ পড়ছেন দুর্ভোগে। এ ছাড়া যে যার মতো করে সড়কে গাড়ি পার্কিং ও মেরামতের কাজ করছে।
সড়কের একাধিক পথচারী জানান, পৌর শহরের মহাসড়কের দুই পাশ অবৈধ দখলের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়।
জগন্নাথপুর বাজারের জামাল উদ্দিন বেলাল বলেন, মহাসড়কসহ জগন্নাথপুর বাজারের সব অলিগলির ফুটপাত অবৈধ দখলদারের দখলে। এসব অবৈধ দখলদারদের কারণে পথে হেঁটে চলার কোনো উপায় নেই।
পথচারী শামীম আহমদ বলেন, রাস্তার ওপর দোকান, সড়কে দাঁড়িয়ে ইজিবাইক রিকশা, সিএনজি-বাসে যাত্রী ওঠানামা সব মিলিয়ে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা। একটু পর পর লেগে যায় যানজট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানি জানান, টাকা দিয়ে তারা ব্যবসা করছেন। প্রতি রবি ও বুধবার বাজার ইজারাদারদের ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকার দিচ্ছেন তারা। সেই সঙ্গে অনেকে আবার যে মার্কেট ও দোকানের সামনে ফুটপাত দখল করেছেন, তারা ওই সব মালিকদের প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
জগন্নাথপুর বাজারের ইজারাদার মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সড়কে তারা দোকান বসাতে বলেননি। সড়ক থেকে দোকান উঠানোর জন্য তাদের বার বার বলা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরকত উল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে ইজারাদারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, তারা এসব দোকান সরিয়ে নেবে। অচিরেই অভিযান করে এসব দোকান উচ্ছেদ করা হবে।