
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় বন্য হাতির উপস্থিতিতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। এক সপ্তাহ ধরে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তারা।
আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার সাতানিপাড়ায় একদল বন্য হাতি পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসে। এ সময় স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে প্রাণীগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানায়, সীমান্তবর্তী সাতানিপাড়া, গারোপাড়া, বালুঝরি, লাউচাপড়া, দীঘলাকোনা, হাতিবেড়কোনা, শোমনাথপাড়া, চন্দ্রপাড়া গ্রামে এক সপ্তাহে ধরে হাতির পাল লোকালয়ে নেমে আসতে থাকে। হাতির পাল ওই এলাকায় আমন ধান ও সবজি ক্ষেত নষ্ট করছে। এ জন্য আগুন জ্বালিয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে ও বাঁশের পটকা ফাটিয়ে হাতির পাল তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। তবে এসবে তেমন কাজ হয় না।
দীঘলাকোনা গ্রামের বাসিন্দা পিটিসং সাংমা বলেন, পাহাড়ে কলা, হলুদ, আদা এবং কিছু ধান চাষ করা হয়। এসব ফসল খাওয়ার জন্য হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসে।
কামালপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাপ জামাল বলেন, হাতির পাল কখন কোথায় আক্রমণ চালায় তা বলা মুশকিল। গত এক সপ্তাহে হাতি পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসছে।
বকশীগঞ্জের ডুমুরতলা বন বিট কার্যালয়ের কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসছে—এমন খবরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চারটি দল পাঠানো হয়েছে। সেখানে আমাদের টিম অবস্থান করছে। হাতির পাল গ্রামের বেশ কিছু ধান ক্ষেত নষ্ট করেছে। তবে এখন পর্যন্ত বসতবাড়ি বা অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি করেনি।