
রাজশাহীর পদ্মার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মার পানি বেড়ে ১৭ দশমিক ৪৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। ফলে মাত্র ৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী দুয়েকদিন পানি আরও বাড়তে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসের শুরু থেকেই রাজশাহীর পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। প্রতিদনি গড়ে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বাড়ছে। রাজশাহীতে গত ২৪ জুলাই রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে হয়েছিল ১৬ দশমিক ৩৫ মিটার। তারপর আবার তা কমতে থাকে। আবার ৩১ জুলাই থেকে পানি বাড়তে থাকে।
৭ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছিল ২৪ সেন্টিমিটার। তার পর থেকে পানি বাড়া অব্যাহত আছে। ৭ তারিখ পানি বেড়ে প্রবাহিত হয় ১৬ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটারে। ৮ তারিখ প্রবাহিত হয় ১৬ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটারে। ৯ তারিখ ১৭ দশমিক ০২ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়। ১০ তারিখ প্রবাহিত হয় ১৭ দশমিক ২২ সেন্টিমিটারে।
সর্বশেষ সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ৬টায় পানি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৩২ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটারে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় পদ্মার বড়কুঠি পয়েন্টে পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটারে। রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক শূন্য ৫ মিটার। ফলে মাত্র ৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড পশ্চিম অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান বলেন, রাজশাহী পয়েন্টে প্রতিদিনই পদ্মার পানি বাড়ছে। এতে চরসহ পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় পানি উঠেছে। আগামী দুয়েকদিন পানি আরও বাড়তে পারে। তবে বন্যার মতো আশঙ্কা এখনো নেই।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী নগরীর টি-গ্রোয়েনের নিরাপত্তায় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে প্রবেশাধিকারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয়দের সেখান থেছে সরে যেতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী পদ্মার পানি সর্বশেষ ২০১৩ সালে ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে ওঠে। এরপর আর কখনো পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।