
গাজীপুরের টঙ্গি পূর্ব থানার মাসিমপুর এলাকায় অর্ধগলিত ও মাথাবিহীন আট খণ্ডে বিভক্ত একটি যুবকের লাশ দুটি ট্রাভেল ব্যাগ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম অলি মিয়া (৩৫), বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর।
র্যাবের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল ৯:৩০ টার দিকে স্থানীয় লোকজন টঙ্গি স্টেশন রোডের হাজী বিরিয়ানি হাউস ও নান্না বিরিয়ানি হাউজের সামনে দুটি ট্রাভেল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগ খুললে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়।
তদন্তে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। নিহতের স্ত্রী শাহনা আক্তার মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের মোবাইল ফোন গত ৬ আগস্ট থেকে বন্ধ পাওয়া যায় এবং ওই দিন দুপুরে তার সঙ্গে শেষবার ফোন যোগাযোগ হয়।
র্যাব উত্তরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের যৌথ অভিযানে মূল পরিকল্পনাকারী আপেল মাহমুদ সাদেক (৪২), সাজ্জাদ হোসেন রনি (২৫) ও শাওন বেগম (৩২)কে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ৬ আগস্ট ভোরে আপেল ও রনি নিহতকে রেললাইনের কাছে নিয়ে যান এবং পরবর্তীতে পরিকল্পিতভাবে রাত ১০:৩০ টার দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে লাশ বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে পলিথিনে মোড়ে টয়লেটের সানসেটের ওপর লুকিয়ে রাখে।
পরদিন (৮ আগস্ট) সকাল ৫:৫৬ টায় তারা লাশ দুটি ব্যাগে রেখে অটোরিক্সায় করে টঙ্গি স্টেশন রোডে ফেলে চলে যায়।হত্যার পেছনে মূল কারণ হিসেবে জানা গেছে, নিহত অলি আহমেদের অভিযোগ, আসামী আপেল মাহমুদ সাদেকের স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে অসদাচরণ এবং আসামির ভাগিনাকে হত্যার পরিকল্পনা জানতে পারায় ব্যক্তিগত বিবাদ। এছাড়া দুই থেকে তিন বছর পূর্বে রনি ও আপেল পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে মারধরও করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।