
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের চাপুলিয়া ফাওকলে রেল ব্রিজের নিচে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখা গেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশটার দিকে মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পানিতে ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে ঘটনাস্থলে মানুষ জড়ো হতে থাকে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি এবং তদন্ত চলছে।
এটি গাজীপুরে চলমান ক্রমবর্ধমান অপরাধ প্রবণতার অংশ মাত্র। গত কয়েক দিনে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া নৃশংস ও সহিংস ঘটনাগুলো এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। গাজীপুর চৌরাস্তায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে গলা কেটে হত্যা, টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশের টুকরো উদ্ধার, শ্রীপুরে মারুফা আক্তার নামের এক প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, এবং চায়ের দোকানের জমি নিয়ে সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু—এসব ঘটনা একের পর এক ঘটে গেছে।
এছাড়া, সাহাপাড়া এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক স্থানীয় সাংবাদিক পুলিশি উপস্থিতিতে মারধরের শিকার হয়েছেন এবং বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই পরিস্থিতি নিয়ে এলাকাবাসী এবং মানবাধিকার কর্মীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সকল ঘটনার তদন্ত করছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
গাজীপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নত না হলে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তাই প্রশাসন, পুলিশ ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে।