Image description

সময় তখন বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) মধ্যরাত। যে সময় রাজধানীর বেশিরভাগ সড়ক ফাঁকা থাকে সেই সময় মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সিগন্যালে দেখা গেল যানবাহনের দীর্ঘ সারি। বড়বড় ট্রাক-বাস থেকে শুরু করে রিকশা আর মোটরসাইকেলগুলোও ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকলেও কিছুই করার ছিল না ট্রাফিক পুলিশের। সিগন্যাল থেকে একটু সামনে এগুতেই দেখা গেল সামনে সড়ক ফাঁকা থাকলেও একটি ট্রাকের চাকা গর্তে আটকে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে এই যানজটের।   

জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস আগে ট্রাফিক পুলিশের নেয়া উদ্যোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ভয়াবহ যানজট কমায়  স্বস্তি ফিরেছিল মানুষের মনে।  কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সড়কের বেহাল দশার কারণে। সড়কের জায়গায় জায়গায় সৃষ্ট গর্তের কারণে আবারও দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি পোহান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

শুধু মোহাম্মদপুর নয়, চলতি বর্ষায় ঢাকার বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে এমন ছোট-বড় অনেক গর্ত। সেসব গর্তের কারণে সড়কে ধীরগতিতে চলতে যানবাহনগুলোকে। এছাড়াও এসব গর্তে মোটরসাইকেল-অটোরিকশার মতো ছোট যানবাহনের চাকা আটকে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।  

মোহাম্মদপুরের সড়ক নিয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. হাসান বলেন, আমার বাসা বসিলা হওয়ায় কাজের প্রয়োজনে প্রায় প্রতিদিনই মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা হয়ে চলাচল করতে হয়। এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি যানজট হতো বেঁড়িবাঁধ সিগন্যালে। কিছুদিন আগে সড়কে দুই পাশে ইউটার্ন চালু করায় যানজট অনেক কমেছিল। কিন্তু কয়েকদিন না যেতেই আবার আগের রুপে ফিরেছে সড়ক।

 

তিনি বলেন, আগে যানজট হতো সিগন্যালের কারণে। আর এখন হচ্ছে সড়কের গর্তের কারণে। সড়কের যে স্থান দিয়ে গাড়িগুলো ইউটার্ন নেয়, সেখানে বিশাল বিশাল গর্ত। সব যানবাহন সেখানে এসে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। আবার অনেক গাড়ির চাকা গর্তে আটকে যাচ্ছে। এতে যানজট দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মইনুল হোসেন বলেন, মোহাম্মদপুরে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে কাদা জমে আর রোদের সময় ধুলাবালি উড়ে। এর কারণ হলো ইউটার্নের এলাকাগুলোয় সড়কের পাশে কার্পেটিং করা নেই। আর টানা বৃষ্টিতে সেসব এলাকায় তৈরি হয়েছে বড়বড় গর্ত। তাই জায়গাগুলো কার্পেটিং করে দিলে যানজটের পাশাপাশি ধুলাবালি আর কাদার সমস্যা থেকেও রেহায় মিলতো। 

এ বিষয়ে ট্রাফিকের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আসলাম সাগর চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, সড়কের গর্ত এখন বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। 

 

তিনি বলেন, কিন্তু বেড়িবাঁধের লাউতলা এলাকায় যে ইউটার্ন চালু করা হয়েছে সেই অংশটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে। আর ময়ূর ভিলার অংশ পড়েছে সিটি করপোরেশনের অধীনে। আমার দুপক্ষকেই সমস্যার কথা জানিয়েছি। তাদের মধ্যে সিটি করপোরেশন কিছু রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। 

সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আসলাম সাগর আরও বলেন, সড়কের গর্তে গাড়ি আটকালে আমরা র‌্যাকার দিয়ে সড়ানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু বড় গাড়ি সম্পূর্ণ লোড অবস্থায় থাকায় র‌্যাকার দিয়ে সড়ানো যায় না। এমন সময় চরম বিপাকে পড়তে হয়। সড়কের গর্তের কারণে দিনরাত চেষ্টা করেও যানজট কমাতে পারছেন না ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।