
বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭৬ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত বা পদায়ন করা হয়েছে, যাদেরকে গত ফেব্রুয়ারিতে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছিল। কেন ওএসডি কর্মকর্তাদের পদায়ন বা সংযুক্ত করা হলো, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। জানা গেছে, এই কর্মকর্তারা ওএসডি অবস্থায় কর্মহীনতার সুযোগে বৈঠকে মিলিত হয়ে সরকার বিরোধী আলোচনা করতেন।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৭৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করে বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিআইজি, এডিশনাল ডিআইজি ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। ডিআইজি রয়েছেন ১১ জন।
ওএসডি থাকা কর্মকর্তাদের কার্যত কোনো কাজ থাকে না। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, যেই কর্মকর্তারা চাকরিতে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছেন, তাদের কেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা পুলিশের ইউনিটগুলোতে সংযুক্ত করতে হলো?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওএসডি হয়ে জননিরাপত্তা বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তারা ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে প্রায়ই বৈঠকে মিলিত হতেন। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তাদের একটি অংশ ওইসব বৈঠকে বর্তমান সরকারবিরোধী নানা বিষয়ে আলাপ–আলোচনা করতেন বলে জানতে পেরেছে প্রশাসন। এ ছাড়া পূর্বের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করে থাকতে পারেন- এমন আলোচনাও ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৭৬ কর্মকর্তাকে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বিভিন্ন রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ কার্যালয়সহ বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়। সূত্র বলছে, কার্যত নিষ্ক্রীয় এই কর্মকর্তাদের সংযুক্ত বা পদায়ন করে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা এক সঙ্গে মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে।
সংযুক্ত হওয়া ৭৬ কর্মকর্তার মধ্যে ১১ জন রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার। তাদের মধ্যে শাহ্ মিজান শাফিউর রহমানকে রংপুর রেঞ্জে, মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদকে সিলেট রেঞ্জে, মো. জাকির হোসেন খান ও মো. শাহ আবিদ হোসেনকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে, মো. ইলিয়াছ শরীফকে সিলেট রেঞ্জে, সৈয়দ নূরুল ইসলামকে রংপুর রেঞ্জে, জিহাদুল কবিরকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে, মো. মনিরুজ্জামানকে সিলেট রেঞ্জে, মো. মাহবুবুর রহমানকে খুলনা রেঞ্জে, মঈনুল হক ও এস এম মোস্তাক আহমেদ খানকে রাজশাহীর পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শীর্ষনিউজ