
বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেই দুর্দশায় দেশের আর্থিক খাত। দুর্দশার মাত্রা কতটা তা বোঝাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেছিলেন, দেশের আর্থিক খাতের অবস্থা পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ। সেই দুর্দশা থেকে আর্থিক খাতকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে অনেকটা সফলতা পেয়েছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্মসংস্থান, বাজেট বাস্তবায়ন, রাজস্ব আদায়, বেসরকারি বিনিয়োগ এবং পুঁজিবাজারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ানোর। যদিও এতোদিন ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংশয় ছিল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দেশের অস্থিতিশীলতার যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল তা অনেকটাই কেটে যাবে এবং ব্যবসায়ীদের নতুন করে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে ফলপ্রসূ সমাধান এসেছে বলে মনে করেন দেশের ব্যবসায়ী এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী রোডম্যাপে ব্যবসায়ীদের মধ্যে থাকা অস্থিরতা অনেকটা কেটে যাবে। নতুন উদ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে। তবে এ জন্য দ্রুত নির্বাচনী পদক্ষেপ, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি এবং কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কট দূর করে ব্যবসা-বাণিজ্য বান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল ইনকিলাবকে বলেন, এতোদিন নো ম্যানস ল্যান্ডে ছিলাম ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির ছিল। বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণায় ব্যবসায়ীদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণায় ব্যবসাীয়দের মধ্যে অস্থিরতা দূর করবে, স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনবে।
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কটের সমধান। অস্থিরতার মধ্যেও ইতোমধ্যে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই সরকারের মেয়াদে আরো কিছু ভূমিকা রাখলে দীর্ঘদিনের এই সঙ্কট কিছুটা দূর হবে।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবীদ ড. মাশরুর রিয়াজ ইনকিলাবকে বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে দীর্ঘদিন থেকেই অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। আর বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজন স্থিতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং নির্বাচিত সরকার। সবাই নির্বাচন কবে হবে এ দিকে তাকিয়ে ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে একটি সুনির্দিষ্ট মাস বলে জাতীয় নির্বাচনের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। যা ব্যবসায়ী তথা দেশের মানুষের জন্য আশাব্যঞ্জক। কারণ এতোদিন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে একধরণের অনিশ্চয়তা কাজ করছিল। তার সমাধান মিলেছে। তবে নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং নির্বাচনী কার্যক্রম জোরদার হলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরো আস্থা ফিরবে।
ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, বিদেশি বিনোয়াগকারী ও দেশের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘসময়ের স্থিতিশীলতা প্রত্যাশা করে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় রাতারাতি সব পরিবর্তন হবে তা নয়, তবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। অবশ্য তিনি এ জন্য দ্রুত নির্বাচনী পদক্ষেপ, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি এবং কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কট দূর করে ব্যবসা-বাণিজ্য বান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনার কথা বলেছেন।সূত্র মতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যদিও এখনো স্বৈরাচার হাসিনার অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থপাচারসহ নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা অনেকটা পিছিয়ে দিচ্ছে। এরপরও রফতানি ও রেমিট্যান্সে আশাব্যঞ্জক সাফল্য এসেছে। গত জুলাইয়ে দেশের রফতানি বেড়ে হয়েছে চার দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তিন দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়ে বলছে, ২০২২ সালের নভেম্বরের পর এই প্রথম মাসভিত্তিক রফতানি আয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য ও তৈরি পোশাকের রফতানি বেড়ে যাওয়ায় এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। হিমায়িত মাছ, শাক-সবজি ও তামাক রফতানি বেড়েছে। কমেছে চা ও কাচের পাত্র রফতানি। গত চার বছরে ৪০ লাখের বেশি বাংলাদেশি কাজের জন্য বিদেশে যাওয়ায় গত জুলাইয়ে রেমিট্যান্স আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেড়ে যাওয়া কথা বাংলাদেশ ব্যাংক জানানোর একদিন পর ইপিবি মাসভিত্তিক রফতানি আয়ের এই তথ্য প্রকাশ করল। গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রফতানি ও রেমিট্যান্স আয় বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভের ওপর চাপ কমেছে। গত তিন বছরের ঘাটতির পর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের বৈদেশিক লেনদেনে উদ্বৃত্ত দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ মনে করেন, এই রফতানি প্রবৃদ্ধি বিদেশে বেশি চাহিদার কারণে হয়নি। এটি হয়েছে, মার্কিন শুল্ক হার ও অন্যান্য সরবরাহ ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে ব্যবসায়ীদের তাড়াহুড়ো করায়। তিনি বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। অনেক কারখানা পুরোপুরি কাজ করতে পারছিল না। এ বছর পণ্য উৎপাদনে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তাই মাসভিত্তিক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জুলাইয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক মনে হলেও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন পারভেজ।
সূত্র মতে, সম্ভাব্য শুল্ক বৃদ্ধির উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ব্র্যান্ড তাদের আমদানি বাড়িয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো জুলাইয়ে প্রচুর কার্যাদেশ দিয়েছে। বিশেষ করে চীনকে ঘিরে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বাণিজ্য অনিশ্চয়তার মধ্যে বিশ্বব্যাপী পণ্য সংগ্রহের কৌশলে পরিবর্তন এসেছে। ক্রেতারা বৈচিত্র্যের দিকে নজর দেওয়ায় বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো প্রচলিত বাজারে পণ্যের চাহিদা অনেক। তবে জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো অপ্রচলিত বাজারে পণ্য রফতানি দ্রুত বেড়েছে। ওষুধ রফতানিতে হয়েছে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ৬১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে ১৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে তা ছিল ১২ মিলিয়ন ডলার। তবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আন্তর্জাতিক বিপণন ব্যবস্থাপক ওয়াসিম হায়দার মনে করেন, সম্ভবত একাধিক ‘বাড়তি’ তথ্যের কারণে এই প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। জুনের তথ্য দেরিতে আসা ও নতুন পণ্য অনুমোদনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, জুলাইয়ের এমন প্রবৃদ্ধি অস্বাভাবিক। জুলাইয়ে চামড়ার জুতা রফতানি বেড়েছে ২৬ শতাংশ। তবে জেনিস সুজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির খান বলেন, দেরি-দুর্নীতি না হলে প্রবৃদ্ধি আরো অনেক বেশি হতো। তার মতে, বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান চাহিদা সত্ত্বেও দেশে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য, মধ্যস্বত্বভোগী ও ‘গ্রিজ মানি’ এই খাতের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কমিয়ে দিয়েছে।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে একাধিক রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি প্রবাসীদের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স হিসেবে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স। এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। এছাড়া এটি পূর্ববর্তী রেকর্ড ২০২০-২১ অর্থবছরের ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গত মার্চ মাসে দেশে তিন দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এটি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পাওয়া দুই দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে প্রবাসীরা প্রায় দুই দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছর ২০২৪-২৫ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। এদিকে চলতি আগস্টের প্রথম পাঁচদিনে ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) চার হাজার এক কোটি টাকার বেশি। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগস্টের প্রথম পাঁচ দিনে ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের (২০২৪ সালের আগস্টের পাঁচ দিন) একই সময় এসেছিল ১৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ে তুলনায় বেশি এসেছে ১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, এখন প্রবাসীরা হুন্ডির মতো অবৈধ পন্থা বাদ দিয়ে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, ব্যালান্স অব পেমেন্টসে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে এবং পাশাপাশি টাকা-ডলারের বিনিময় হারও স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব বিবেচনায় বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করেছি, যদিও এটি অন্যদেরও (আইএমএফের) পরামর্শ ছিল। অনেকের শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার মোটেও অস্থির হয়নি। টাকার ওপর মানুষের আস্থা এখন বাড়ছে। ড. মাহমুদ বলেন, এখন হঠাৎ করে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ফলে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স আটকে রাখার প্রবণতা থেকে সরে এসেছেন। আর এ কারণেই বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগের প্রবাহ প্রত্যাশিত মাত্রায় না বাড়লেও প্রবাসী-প্রধান এলাকাগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ অর্থনীতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে এটি বিনিয়োগে স্থবিরতা অনেকাংশেই পুষিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে প্রত্যাশিতভাবে গ্রামীণ অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েনি। এখন অর্থনীতি ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং এর অন্যতম প্রধান কারণ রেমিট্যান্স প্রবাহ। পাশাপাশি রফতানিও বাড়ছে।