Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে শেরপুরের দুই উপজেলায় সরকারি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ নেতার সরব উপস্থিতি ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলার কর্মসূচিতে এই দৃশ্য দেখা যায়।

ঝিনাইগাতী উপজেলার শহীদ সৌরভ চত্বরে মোড়ক উন্মোচনের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেলের পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সারোয়ার হোসেনকে দেখা গেছে। তিনি ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলার আসামি।

অন্যদিকে, নকলা উপজেলার ১ নম্বর গণপদ্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান আবুলকে দেখা গেছে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তার পাশে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি ও যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

ঝিনাইগাতী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এখলাছুর রহমান বলেন, ‌‘আমরা ১৬ বছর ধরে জাতীয় দিবসে কোনো আমন্ত্রণ পাইনি, ছবি তোলার সুযোগ তো দূরের কথা। আজও দেখা যাচ্ছে, প্রশাসনে আওয়ামী ঘরানার লোকজন থেকেই যাচ্ছে।’

এ ঘটনার পর ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সারোয়ারকে গ্রেফতার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো. আল-আমীন।

নকলা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক খোরশেদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরপরই ইউএনওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছেন, তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে এসেছেন। আমরা এ বিষয়টি কোনো অবস্থাতেই মানতে পারছি না। তিনি একাধিক মামলার আসামি। এমনকী কারাগার থেকে বেশ কিছুদিন আগে বের হয়েছেন।’

 

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইগাতীর ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আমি চিনতাম না।

নকলার ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি কাউকে দাওয়াত দিইনি। উনি নিজ থেকেই অনুষ্ঠানে এসেছেন।

জানতে চাইলে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ঝিনাইগাতীর বিষয়টি শুনে ইউএনওকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিকে চিনতেন না। আর কোনো মামলার আসামি থাকলে তাদের গ্রেফতার করা উচিত।