
ছিটমহল বিনিময়ের এক দশক। ৬৮ বছরের বন্দি থাকা শিকল থেকে ছাড়া পায় বাংলাদেশ-ভারতের ১৬২টি ছিটমহলের বাসিন্দারা। পরিচয় ও অধিকার পাওয়ার পাশাপাশি বদলে যায় তাদের জীবনের গল্প।
দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট সমন্বয়পাড়ার আমজাদ হোসেন। জন্মের পর বুঝতে পারেন, তিনি ছিটমহলের বাসিন্দা। সে থেকেই হতাশার বসবাস। কেননা সে জীবনে ছিলো না রাষ্ট্র স্বাধীনতা কিংবা মৌলিক অধিকার।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দারের অবস্থাও ছিল একইরকম। তাদেরও ছিলো না নাগরিক পরিচয় ও অধিকার। পরিচয় গোপন করে বা মিথ্যা পরিচয়ে করতে হতো লেখাপড়া, নিতে হতো চাকুরি।
তবে, দীর্ঘ আন্দোলনের পর মানচিত্রে মিলে যায় দুই দেশের অভ্যন্তরে থাকা ১৬২ ছিটমহল। কেউ কেউ শেষ বয়সে এসে জীবনের স্বাদ পেলেও তাদের এখনও মনে পড়ে ছিটজীবনের দুঃসহ স্মৃতি।
আঁধার পেরিয়ে আলোতে আসার দিনটিকে উদযাপন করে দাসিয়ারছড়াবাসী। এবারও রয়েছে নানান আয়োজন।
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ভারত-বাংলাদেশের ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন হয়।